সরস্বতী পুজোর দিনেই ছুটি নেই, চিন্তায় রাজ্য সরকারি কর্মচারী থেকে স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারা

Spread the love

সরস্বতী পুজো ২৯ জানুয়ারি, বুধবার। যদিও এবার পঞ্জিকা অনুযায়ী শুক্লপক্ষের পঞ্চমী তিথি ২৯ জানুয়ারি, বুধবার এবং ৩০ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবারেও থাকছে। রাজ্য সরকার এই বছরে সরস্বতী পুজোয় এমনিতেই দু’দিনের ছুটি দিয়েছে। কিন্তু সেই ছুটিটা ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি। অর্থাৎ, পুজোয় দু’দিন ছুটি মিললেও যেদিন পুজো সেদিনটাই অফিস কাছারি খোলা থাকছে। আর এনিয়েই নানা জল্পনা শুরু হয়েছে সরকারি কর্মীদের মধ্যে।

রাজ্য সরকার বছরের গোড়াতেই নতুন ছুটির ক্যালেন্ডার তৈরি করে। সেই ক্যালেন্ডারে সরস্বতী পুজোর জন্য ছুটি দেওয়া রয়েছে ৩০ ও ৩১ জানুয়ারি। ৩০ জানুয়ারির ছুটি এনআই অ্যাক্টে এবং ৩১ জানুয়ারির ছুটি দেওয়া হচ্ছে অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অর্ডারে। এর ফলে সরকারি কর্মীরা টানা চারদিন (শনি ও রবি ধরে) ছুটি উপভোগ করতে পারবেন। কিন্তু টানা চারদিনের ছুটি মিললেও মূল পুজোর দিনই ছুটি নেই।

এনিয়ে কর্মীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে নতুন আশা। সরকারের পক্ষে কি বুধবারে ছুটি ঘোষণা করা হবে! সেক্ষেত্রে শুক্রবার ৩১ জানুয়ারি ছুটি বাতিল হতে পারে। তাতে আবার টানা চারদিন ছুটির সুখ থাকবে না।

সব থেকে বেশি সমস্যায় রাজ্যের স্কুল কলেজের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেহেতু সরস্বতী পুজো হয়, তাই তারা পড়েছে চিন্তায়। সকলেই প্রায় ২৯ জানুয়ারি পুজো করছেন। কারণ, সেই দিন অনেকটা সময় পর্যন্ত পঞ্চমী তিথি থাকছে। পরের দিন অর্থাৎ, ৩০ জানুয়ারি পঞ্চমী থাকলেও তা শেষ হয়ে যাচ্ছে সকাল সকাল। স্কুল, কলেজে অত তাড়াতাড়ি পুজোর আয়োজন করা মুশকিলের। আর তাতেই হয়েছে বিপত্তি। সরকারি ভাবে যেদিন স্কুল খোলা সেদিন স্কুলে পুজো করা যাবে কিনা তা নিয়ে অনেকেই দোলাচলে।

সরকার যে ২৯ জানুয়ারি না দিয়ে ৩০ জানুয়ারি ছুটি দিয়েছে তা অবশ্য অযৌক্তিক নয়। ২৯ জানুয়ারি সকাল ৮টা ৪৬ মিনিটে শুরু হচ্ছে পঞ্চমী তিথি। কিন্তু ৩০ জানুয়ারি সূর্য ওঠার সময় তিথি থাকবে। তাই সেদিনই পুজো করার জন্য উপযুক্ত বলে মনে করেন পণ্ডিতরা। তবে ২৯ জানুয়ারিতেও পুজো করা যেতে পারে যেহেতু পঞ্চমী তিথি থাকছে। কিন্তু ৩০ জানুয়ারি সকাল ১০টা ৪৬ মিনিটে পঞ্চমী শেষ হচ্ছে। তার মধ্যে পুজো শেষ করা মুশকিলের বলেই সকলে আগার দিনে পুজো সেরে রাখতে চাইছেন।

অনেকেরই বক্তব্য, রাজ্য সরকার বৃহস্পতি, শুক্র দু’দিনের ছুটি দিয়েছে। তার বদলে বুধ ও বৃহস্পতি ছুটি দিলে ভাল হত। রাজ্য সরকারি কর্মীদের অনেক বলছেন, শেষ মুহূর্তে নবান্ন বিজ্ঞপ্তি জারি করে ছুটির দিন বদলেও দিতে পারে। অতীতে এমন নজির রয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*