দিল্লি নির্বাচনের ফল বেরনোর পর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ স্বীকার করেছেন, ভোটপ্রচারে দলের নেতাদের উস্কানিমূলক মন্তব্য করা উচিত হয়নি। “গুলি মারো”-র মতো বক্তব্যই সেখানে দলের বেশি সংখ্যক আসন জেতার সুযোগ কমিয়েছে বলে তাঁর মত। এরপরই প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা । তাদের প্রশ্ন, ভোটের প্রচার চলাকালীন তাহলে কেন চুপ করে ছিলেন তিনি? এবার নাম না করে তাঁর এই বক্তব্য নিয়ে কটাক্ষ করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, এটা অনেকটা রোগীর মৃত্যুর পর ডাক্তার আসার মতো।
শুক্রবার বিধানসভায় কারও নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “তাদের মতকে সমর্থন না করায় বিক্ষোভকারীদের প্রকাশ্যে গুলি মারার হুমকি দিচ্ছে কয়েকজন। যদি তাদের সঙ্গে একমত না হও তবে তারা সবাইকে গুলি করার হুমকি দেয়। এখন এটা ঠিক হয়নি বলে কী লাভ? রোগী মারা যাওয়ার পর ডাক্তার এসে কী হবে?”
দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বারবার উস্কানিমূলক মন্তব্য করতে শোনা গেছে একাধিক বিজেপি নেতাকে। আন্দোলনকারীদের গুলি মারোর মতো মন্তব্য করতেও শোনা গেছে। মূলত তাঁদের আক্রমণের নিশানায় ছিল শাহিনবাগ। একটি ভিডিয়োয় অনুরাগ ঠাকুরকে বলতে শোনা যায়, দেশদ্রোহীদের আজই গুলি মারা হোক। যারা দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছে।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথও ভোটপ্রচারে শাহিনবাগকে নিশানা করে বলেছিলেন, সন্ত্রাসবাদীদের গুলি খাওয়াই, বিরিয়ানি না। আর ভোটের ফল বেরনোর পর এক অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেন, “গুলি মারো, ইন্দো-পাক ম্যাচ জাতীয় কথা বলা উচিত হয়নি। দল এই ধরনের মন্তব্য থেকে নিজেকে সরিয়ে নিচ্ছে। কয়েকজন নেতা হিংসাত্মক মন্তব্য করেছেন ঠিকই কিন্তু জনগণ জানে বিজেপি কেমন। হয়ত আমরা এই ধরনের মন্তব্যের ফল ভোগ করলাম। আর তাঁর এই মন্তব্য নিয়েই এবার কটাক্ষ করতে ছাড়েননি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতকাল বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশের আইনশৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, বাংলায় মহিলাদের সুরক্ষায় আমরা কড়া আইন করেছি। মহিলাদের উপর কোনও অপরাধ হলেই পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ নেয় কিন্তু, উত্তরপ্রদেশে নির্যাতিতাকে পুড়িয়ে মারা হয়। তাদের পরিবারের উপর হামলা চালানো হয়।
Be the first to comment