অমিত শাহের সভায় এসেছেন শুভেন্দু অধিকারীর পিতা, একসময়ে মমতার অন্যতম বিশ্বস্তজন বলে পরিচিত শিশির অধিকারী। ঠিক সেই সময়েই উত্তর কাঁথির জনসভা থেকে নাম না করে অধিকারীদের বিরুদ্ধেই তোপ দাগলেন মমতা। বললেন, বিজেপিতে না গেলে আমরাই তাড়িয়ে দিতাম। আঙুলটা যে শিশির অধিকারীর দিকেই তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বক্তব্য শুরুই করেন বহিরাগত তত্ত্ব দিয়ে। বলেন, এটা বাংলার ভোট। দিল্লির ভোট নয়। আমার দরকার এখন বাংলা। আমার এখন দিল্লির দরকার নেই। বাংলায় যদি আমায় চান। আমার সব প্রার্থীদের জেতান। বহিরাগতদের চান না।
ক্রমেই আসে শুভেন্দু-শিশির প্রসঙ্গ। মমতা বলতে থাকেন, কাজ করলাম আমি। নাম করল গদ্দাররা।আমি সরকারের মন্ত্রী করলাম। আর তুমি তাই নাম লিখেছো। কারও নাম না করেই মমতার হুঙ্কার, বিজেপিতে না গেলে আমরাই তাড়িয়ে দিতাম। কিন্তু ঘটনাস্থলই বলে দিচ্ছে ইঙ্গিত শান্তিকুঞ্জের দিকেই। আরও প্রত্যক্ষ ভাবে বললে, শিশির অধিকারী আজই বিজেপি যোগ সম্পর্কে বলেছেন , ধাক্কা মেরে পাঠানো হল। মমতা উত্তর ফেরালেন সেই কথারই।
মমতা সাম্প্রতিক অতীতে বারংবার বলেছেন, কাঁথিতে আসতে রীতিমতো অনুমোদন লাগত তাঁর। আজও বলেন,কাঁথিতে আসতে পারমিশন নিতে হবে। এবার আমি দেখব কাঁথিতে আসতে কার পারমিশন লাগবে?আমি গাধা, বোকা, সহজ সরল আছি। আমায় ঠকায়। তবে বিশ্বাসঘাতকদের মুখোশ খুলব।
মমতার অভিযোগ উদ্বিষ্ট ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গ এই অঞ্চলে তাঁর বাড়ি করা নিয়েও সমস্যা তৈরি করেছেন। তাঁর কথায়, “আমি কেন বাড়ি করব বলেছি। তা নিয়ে রাগ, আগামিদিনে হলদি নদীর ধারে টালির চালের বাড়ি করব।”
কাটমানি অস্ত্রে তৃণমূলকে বিঁধছে বিজেপি। মমতা স্বচ্ছতার প্রশ্নে শিখণ্ডী খাড়া করছেন নিজেকেই। বলছেন, “আমি তো চাকর বাকরের মতো কাজ করি। আমি পেনশনের টাকা, মাইনের টাকা নিইনি। আমি একা মানুষ। আমি চুরি করব কেন? আমি কো অপারেটিভে লুকিয়ে টাকা রাখব কেন? “
কাঁথি-তমলুকের বাসিন্দাদের জন্য এক গুচ্ছ আশ্বাসও ছিল মমতার মুখে। তিনি বলেন, “চাকরির সমস্যা এই জেলায় আর থাকবে না। দিঘা তমলুক রেল লাইন আমি করে দিয়েছি। কোভিডের পরে হোটেল, পর্যটন, গাড়ি শিল্প সমস্যায়। তাদের ব্যাঙ্ক ঋনের ব্যবস্থা সরকার করছে ।বিদ্যুৎ আগামীদিনে আরও সস্তা করব।”
এবার ভোটের হাইভোল্টেজ লড়াই মেদিনীপুরেই। অখণ্ড মেদিনীপুরকে বার্তা দেওয়ার সময়ে আত্মবিশ্বাসীই দেখাল তাঁকে। বললেন, সরকারটা আমার হবে। আমায় বিশ্বাস করুন।
৯০ মিনিটের থুড়ি আট দফার ম্যাচটা শুরু হতে আর মাত্র ছদিন। তাঁর আগে ওয়ার্ম আপ করছে গোটা দল। দলের স্ট্রাইকার-স্টপার মাঠ ছা়ড়ার আগে বলে গেলেন, “বাঙালির ডি এন এ টেস্ট করবে? তুমি টেস্ট করবে আমার বাবা মা কে? দিয়ে দেব আচ্ছা করে তোমায়। এক পায়ে এমন শট মারব না!” কেউ কেউ বলছেন, এক পায়ে শট জয় এনে দিলে মারাদোনাই মানতে হবে তাঁকে।
Be the first to comment