পাঁচদিনের উত্তরবঙ্গ সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবারই শিলিগুড়ির উত্তরা ময়দানে এক সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। এই মঞ্চ থেকে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, কোচবিহারের জন্য ১১টি প্রকল্পের সূচনা করেন। সেখানেই বগটুই প্রসঙ্গ তুলে ধরেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, “এখানে একটা ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা তো আমরা ঘটাইনি। একটা ঘটনা ঘটেছে সেটা নিন্দনীয়। খুন হয়েছে তৃণমূল নেতা। যাদের বাড়িতে আগুন লেগেছে তারাও তৃণমূল নেতা। খুন হল তৃণমূল, আগুন লাগল যাদের বাড়িতে তারাও তৃণমূল। আর কিছু চ্যানেল তৃণমূলকেই গালাগালি দিয়ে ব্যবসা করতে নেমেছে। তা হলে বুঝুন, আমার হাত কাটল, আমার পা কাটল, আমার মাথা কাটল আবার আমাকেই গালাগালি দিচ্ছে। হ্যাঁ পুলিশের ভুল ছিল প্রথমে। খুন হয়ে যাওয়ার পর ওদের আশঙ্কা করা উচিৎ ছিল। সে জায়গায় পুলিশের ভুল আছে। আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।”
এই ঘটনা ঘিরে বিরোধীদের নিশানা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “তিনদিন আগে ১০ জন বাইরে পুড়ে মারা গেল। খুন, মৃত্যু সবটাই খারাপ। আমি সমর্থন করছি না। বিহারে বডি এল। কোনও চ্যানেল তো কথা বলল না। কীভাবে পুড়ে মারা গেলেন, সত্যি পুড়ে মারা গেলেন নাকি পুড়িয়ে দেওয়া হল তা নিয়ে তো কোনো কথা হল না? কেরল থেকে ছ’দিন আগে চারটে দেহ এল। কই সিপিএম নেতারা কিছু তো বললেন না? খালি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে গালাগাল দেওয়া কাজ হয়েছে? কী কংগ্রেস নেতারা, আপনাদের রাজ্য থেকে ফিরে আসছে মৃতদেহ কোনও কথা নেই? বিজেপি ভুলে গেছে কাশ্মীর থেকে মুর্শিদাবাদে ফিরে এল আপেলের চাষ করতে যাওয়া একটার পর একটা মৃতদেহ। কখনও মুর্শিদাবাদে এসেছে, কখনও মালদহে এসেছে, কখনও নদিয়ায় এসেছে। তারপর তো পরিবারগুলোর দিকে ফিরেও তাকাওনি।”
বগটুই প্রসঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি মানছি পুলিশের ভুল ছিল প্রথমে। খুন হওয়ার পর ওদের আশঙ্কা করা উচিৎ ছিল কিছু একটা ঘটতে পারে। পুলিশের ভুল আছে, আমরা তার জন্য ব্যবস্থাও নিয়েছি। এসডিপিও, ওসিকে তার জন্য সরানো হয়েছে। ২২ জন গ্রেফতার হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক সভাপতিকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। সবাই জানে সব তৃণমূলের লোকেরাই গ্রেফতার হয়েছে।”
Be the first to comment