ইউনেস্কোর তরফে বিশেষ স্বীকৃতি পেয়েছে কলকাতার দুর্গাপুজো। বিশেষ সম্মান পাওয়া পরে ইউনেস্কোকে ধন্যবাদ জানাতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার আয়োজন করেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অনুষ্ঠানে বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। বিসিসিআই প্রেসিডেন্টকে নিজের ছোট ভাই বলে সম্বোধন করলেন মুখ্যমন্ত্রী। দুর্গাপুজোর সময়ে কলকাতায় না থাকলে এই আবেগ বোঝা যাবে না, বললেন সৌরভ।
বিসিসিআইয়ের তরফ থেকে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের তেরঙ্গা উত্তরীয় পরিয়ে দেন সৌরভ। শুধুমাত্র ইউনেস্কোর প্রতিনিধিই নয়, তেরঙ্গা উত্তরীয় পরিয়ে প্রিয় দিদিকেও বরণ করে নিলেন বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট। সেই সঙ্গে সোনালি রঙের দুর্গামূর্তিও তুলে দেন অতিথিদের হাতে। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানান সৌরভ। বক্তব্য রাখার সময়ে তিনি বলেন, “আমাদের কাছে দুর্গাপুজো কতটা গুরুত্বপূর্ণ, সেটা বলে বোঝানো যাবে না। আমি পৃথিবীর নানা দেশে ঘুরেছি। সেই অভিজ্ঞতা থেকে বলতে চাই, সকলেরই দুর্গাপুজো দেখা উচিত।”
সৌরভ আরও বলেছেন, “উৎসবের ওই পাঁচ-সাতদিনে কলকাতার রূপ একেবারে বদলে যায়। মা দুর্গা সকলের মুখেই হাসি ফোটান। শুধুমাত্র উদযাপন করাই নয়, ধনী-গরিব নির্বিশেষে সকলের মনে আনন্দ নিয়ে আসে দুর্গাপুজো। তাই ইউনেস্কোকে বিশেষ ভাবে ধন্যবাদ জানাতে চাই, দুর্গাপুজোকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য।” ক্রীড়াজগতের প্রতিনিধি হিসাবে সৌরভ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কলকাতার তিন প্রধান ফুটবল ক্লাবের প্রতিনিধিরা। ইউনেস্কোর অতিথিদের হাতে বিশেষ উপহারও তুলে দেন সকলে।
মোহনবাগানের তরফ থেকে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের হাতে বিশেষ জার্সি তুলে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে পালতোলা নৌকার একটি পেন্টিংও উপহার দেওয়া হয় তাঁদের। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব উপহার হিসাবে ডাকের সাজের দুর্গামূর্তি দেওয়া হয় ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের। ফাইবারের দুর্গামূর্তি দিয়ে ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদের সম্মান জানান মহমেডান ক্লাব কর্তারা।
রেড রোডের অনুষ্ঠানে সবশেষে বক্তব্য রাখেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি বলেছেন, “সৌরভ আমার ছোট ভাইয়ের মতো। আমি ওকে খুবই ভালবাসি, স্নেহ করি। আজকে ও যে সময় করে আসতে পেরেছে। খুব ভাল করে কথাও বলেছে। সেই জন্য ওকে ধন্যবাদ জানাই।” অনুষ্ঠানের মধ্যেও নানা সময়ে মঞ্চে হাসিমুখে দেখা গিয়েছে মমতা এবং সৌরভকে।
Be the first to comment