বুধবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের সভায় দাঁড়িয়ে আবারও রাজ্যের মানুষকে দেশ জুড়ে চলা অপশাসনের বিদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর ডাক দিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মেয়ো রোডের বিপুল জমায়েতে দাঁড়িয়ে রাজ্যের সব ছাত্র যুবদের উদ্দেশে মমতার বার্তা ভয় পাবেন না। ভয়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ান।
এরপরই কেন্দ্রের একের পর এক সিদ্ধান্তের তীব্র সমালোচনা করেন তৃণমূল নেত্রী। যার শুরুটা এদিন হয় কাটমানি প্রসঙ্গে বিরোধীদের তোলা প্রশ্নে। মমতা বলেন, ধর্মের নামে ভেজালের দোকান চলছে। কাটমানি নিয়ে কথা বলা হচ্ছে কিন্তু কালোটাকা নিয়ে কথা নেই। এরপরই সরাসরি আরবিআই-এর দিকে তোপ দেগে মমতা বলেন, ১,৭৬ লক্ষ কোটি টাকা লভ্যাংশ হিসাবে কেন্দ্রীয় সরকারকে তুলে দিল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। আরবিআই এর কাছে গচ্ছিত থাকা সোনাও চলে যাচ্ছে। এরপর দেশ কোন বড় বিপদে পড়লে কে সামলাবে?
এরপরই এদিন কাশ্মীর প্রসঙ্গ টেনে তৃণমূল নেত্রী বলেন, কথা বলার স্বাধীনতা নেই। বন্দুক দিয়ে সকলের মুখ বন্ধ করে রাখা হচ্ছে। এই প্রসঙ্গেই এদিন আবারও রাজ্যের সিপিএম নেতৃত্বকে কটাক্ষ করেন মমতা। বলেন, সিপিএম-এর হার্মাদরা সব বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। রাম-বাম সব এক হয়ে গেছে। এছাড়াও, সিবিআই দিয়ে দেশজুড়ে সব অবিজেপি রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ভয় দেখানোর প্রসঙ্গে মমতা বলেন, প্রতিদিন সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে দেশের রানৈতিক দলগুলিকে চেপে রাখা হচ্ছে। মমতা বলেন, দেশ ইমার্জেন্সির দিকে যাচ্ছে। ওয়ান ইলেকশন, ওয়ান লিডার, ওয়ান পলিটিক্যাল পার্টি, ওয়ান ইমার্জেন্সি। দেশ দখল করবে বলে সব রাজনৈতিক দলকে টাকা দিয়ে কিনে নিচ্ছে। এরপরই তিনি বলেন, আজ ভাইদের ডাকছে, কাল আমায় ডাকবে, আমি ভয় পাই না। জেলে যেতে তৈরি, কিন্তু বিজেপির কাছে মাথানত করবো না।
রাজীব কুমারকে সিবিআই এর গ্রেফতারি প্রচেষ্টার বিষয়েও নাম না করে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন পুলিশদের ভয় দেখানো হচ্ছে। মানুষ শান্তিতে নেই। মানুষ কষ্টে আছে। মমতা আরও বলেন, তৃণমূল ছাত্র পরিষদ কাশ্মীরের পাশে দাঁড়াবে।
এরপরই দুর্গাপুজো নিয়ে নাম না করে বিজেপির রাজনীতির বিরুদ্ধে তোপ দাগেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, রাবন পুজো করে বড়ো হয়েছে। ওরা দুর্গা পুজোর গুরুত্ব বুঝবে কী করে? দলনেত্রী জানান, জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডের ১০০ বছর উদযাপন করবে রাজ্যের সব কলেজ। যা নিয়ে এদিন মঞ্চে দাঁড়িয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও নির্দেশ দেন তিনি। বলেন, যখন তখন ঐতিহাসিক স্থানের নাম বদলে দিচ্ছে। ইতিহাস ভুলিয়ে দিচ্ছে।
এছাড়াও এদিন রাজ্যের নাম বদলের প্রসঙ্গে সরব হন মমতা। তিনি বলেন, রাজ্যের নাম বদলাতে দিচ্ছে না কেন্দ্র। বার বার খারিজ করে দিচ্ছে। বাংলাকে ভয় পায়। হিংসা করে। পাশাপাশি সরকারি পেনশন সব রাজ্যে বন্ধ করে দিয়েছে। ত্রিপুরায় ছিলো, বিজেপি এসে তাও বন্ধ করে দিয়েছে। একমাত্র আমাদের রাজ্যেই চলছে পেনশন।
এদিন কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
শুনুন!