আগেই দুই দিনাজপুর, মুর্শিদাবাদ ও জঙ্গলমহলের দায়িত্ব শুভেন্দু অধিকারীর হাতে তুলে দিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেস সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর শুক্রবার দলনেত্রী নির্দেশ দিলেন, উত্তরবঙ্গ থেকে দক্ষিণবঙ্গ সব জেলাতেই নজর রাখবেন শুভেন্দু অধিকারী। এছাড়াও জানা গিয়েছে, প্রত্যেক জেলা নিয়ে আলাদা আলাদা করে বৈঠক হবে ভবনে। বৈঠক হবে জেলা নেতৃত্বদের নিয়েও।
মমতা এদিন বলেন সব বন্ধ অফিস খুলতে হবে। ভোটার তালিকা দেখে নিন। তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভানেত্রী আরও জানান, এই ফলাফল আসল ফলাফল নয়। বিজেপি কীভাবে দাবি করতে পারে যে রাউন্ডে রাউন্ডে ওরা এগিয়ে থাকবে? মমতা বলেন, ইভিএম মেশিনে উন্নত প্রজুক্তি ব্যবহার করে প্রোগ্রামিং করা হয়েছে। এর বিরুদ্ধে আমাদের গণ আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। নাহলে ওরা কী করে বলে দিলো জে ৩০০টা পেয়ে যাবো?
এছাড়াও জয় হিন্দ বাহিনী তৈরির দায়িত্ব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়েছেন মমতা। আর বঙ্গ জননীর দায়িত্ব পেয়েছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলের নেতা ও মন্ত্রীদের বলেন, ঘাবড়াবার কিছু নেই, ভয় পাওয়ার দরকার নেই। উল্লেখ্য, জয় হিন্দ বাহিনীর চেয়ারম্যান ব্রাত্য বসু, ভাইস চেয়ারম্যান ইন্দ্রনীল সেন। পাশাপাশি এদিন আদিবাসী উন্নয়নে নতুন সংগঠন গঠন করলো তৃণমূল কংগ্রেস। যার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে উমা সোরেনকে।
অন্যদিকে হাজি নুরুলের জায়গায় মাইনরিটি সেলের দায়িত্ব পেলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। সাধন পান্ডে ও গলাম রব্বানিকে মালদহের অবজারভারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নদীয়ার অবজারভারের দায়িত্ব পেয়েছেন রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ৭ জুন তৃণমূল কংগ্রেস ভবনে হুগলীর কর্মীসভা হবে।
প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর শুক্রবার প্রথম কোর কমিটির বৈঠকে বসে তৃণমূল কংগ্রেস। সাংগঠনিক স্তরে কী কী পরিবর্তন করা উচিত, তা নিয়েই মূলত আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে। তবে সূত্রের খবর, এদিন মূলত সাংগঠনিক কাঠামোর পুনর্বিন্যাস নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিধানসভা ভোটের আগে বিজেপিকে রুখতে তৃণমূল স্তরে সংগঠনকে শক্ত করার কাজ শুরু করতে চান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Be the first to comment