নন্দীগ্রামে ভোটে কারচুপি করে জয়ী হয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, এই অভিযোগ আগেই তুলেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার এই অভিযোগ সামনে রেখে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শুক্রবার হাইকোর্টে শুনানি হবে এই মামলার। শুক্রবার বেলা ১১টা নাগাদ কলকাতা হাই কোর্টে বিচারপতি কৌশিক চন্দের সিঙ্গল বেঞ্চে এই মামলার শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে। সূত্রের খবর, নন্দীগ্রামের ফলাফল নতুন করে গণনার দাবি জানিয়ে এই মামলা করা হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এবং বিরোধী দলনেতা; দুই তরফের আইনজীবী হাজির থাকবেন শুনানিতে। ভিডিয়ো কনফারেন্সেই এই মামলার শুনানি হবে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে হাইভোল্টেজ কেন্দ্র ছিল নন্দীগ্রাম। দাদা বনাম দিদির লড়াইয়ের দিকে নজর ছিল গোটা দেশের। রাজ্যজুড়ে বিজেপির ভরাডুবি হলেও নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর কাছে পরাজিত হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর কাছে ১৯০০-র কিছু বেশি ব্যবাধানে ভোটে হেরে গিয়েছিলেন মমতা। যদিও প্রথমে ঘোষণা করা হয় যে মমতা ১২০০ ভোটে জিতেছেন। কিন্তু, কিছুক্ষণ পরই শুভেন্দু অধিকারীকে জয়ী ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার। গোটা বিষয়টি নিয়ে গোড়াতেই কারচুপির অভিযোগ তোলা হয়েছিল তৃণমূলের পক্ষ থেকে। এরপরেই তাঁর বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপির অভিযোগ তুলেছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তিনি বলেছিলেন, ‘কারচুপি হয়েছে, আমরা কোর্টে যাব।’
প্রসঙ্গত, ২মে ফলাফল প্রকাশিত হয়েছিল। ১৭ জুন হাইকোর্টে মামলা দায়ের করে তৃণমূল কংগ্রেস। শুভেন্দু অধিকারীর কারচুপির অভিযোগে ইলেকশন পিটিশন।
উল্লেখ্য নন্দীগ্রামের ফলাফল নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ‘আমরা দুশোর বেশি আসনে জিতেছি। একটা আসনে হারা জেতা বড় ব্যাপার নয়। ওরা একবার ঘোষণা করে দিয়েছিল যে আমি জিতে গিয়েছি। এখন বলছে হেরে গিয়েছি। এটা কী করে হয় জানি না। ওখানকার মানুষ যে রায় দিয়েছেন তা মেনে নিচ্ছি। ওখানে ভোটগণনা যাতে রিভিউ করা হয়, সেই দাবি জানাব। দরকার হলে আদালতে যাব।’ এবার ভোটের ফলাফলে কারচুপি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী, এই অভিযোগকে সামনে রেখে আদালতের দ্বারস্থ হলেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
Be the first to comment