ভিডিও সৌজন্যে- (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ফেসবুক)
শুক্রবার তারকেশ্বরে সরকারি পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি এদিন মাটি উৎসবের সূচনাও করলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যের কিছু উল্লেখযোগ্য অংশ নীচে দেওয়া হলো।
রানী রাসমনি গ্রিন ইউনিভার্সিটি তৈরি হয়ে গিয়েছে। সব ডিপার্টমেন্টও রেডি হয়ে গিয়েছে। ভাইস চ্যান্সেলরকেও নিযুক্ত করে দিয়েছি।
হুগলীর অনেক ইতিহাস আছে। হংসেশ্বরী মন্দিরের ডেভেলপমেন্ট হচ্ছে। রামমোহনের বসত বাড়ি, উলুবেড়িয়ায় মাল্টি সুপার স্পেশ্যালিটি হসপিটাল শুরু হচ্ছে। আরামবাগে নতুন মেডিকেল কলেজ হচ্ছে। তমলুকেও মেডিকেল কলেজ হচ্ছে।
মাটি তীর্থ আমাদেরই আইডিয়া। পৃথিবীতে মাটি উৎসবের কথা কেউ ভাবে নি। ২০১৩ সালে আমরাই প্রথম করেছিলাম। বাংলা পথ দেখায়।
সিঙ্গুরের জমিহারাদের জমি ফেরত দিতে পেরেছি বলে আমি গর্বিত। সিঙ্গুরে ধর্না দি। ২ দিন কলকাতায় আমরণ অনশন করি।
বাংলায় বাতিল আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প। ওটা মিথ্যে কথা। এখানে শুধু স্বাস্থ্য সাথী। বাংলার মানুষ মাথা উঁচু করে বলবে, আমাদের ভিক্ষে দিতে হয়না। আমরা খেটে নিজেরাই নিজেদেরটা করে নিতে পারি।
দুধপুকুর উন্নয়নে অর্থ বরাদ্দ করা হয়েছে। আজ ১০ হাজার মানুষকে পরিষেবা প্রদান করা হয়েছে।
আলুর দাম নিয়ে আগামীদিনে কোনও সমস্যা হলে রাজ্য সরকার ১০ লক্ষ মেট্রিকটন আলু নিজেরা কিনবে। আগামীদিনে বন্যা কমানোর জন্য ৩ হাজার কোটি টাকা প্রোজেক্ট হলে বন্যা কবলিত অঞ্চলের সমস্যা মিটে যাবে।
আমি সব করবো, কিন্তু দাঙ্গা লাগাতে দেব না। আগুন লাগাতে দেব না। আজকেও কানে এসেছে একটা রটনা রটানো হচ্ছে আরএসএসের মধ্যে থেকে গর্ধ শিক্ষিত উগ্র যারা হিন্দু ধর্মের নাম করে যারা মানুষ খুন করে তারাই এসব রটাচ্ছে।
এই বাংলায় জন্মেছি, মন্দির করেছি, মসজিদে হাত দিয়েছি, কোনও গুরুদুয়ারে হাত দিয়েছি। আমরা উন্নয়ন করি, ভাঙতে যাই না। হিন্দু ধর্মের নামে তোমরা কারা? ওরা গেরুয়া পরে স্যাক্রিফাইস করে তোমাদের মতো অসম্মান করে না। গোরক্ষক হত্যার নামে কী একটা বেরিয়েছে পাশবিক সংস্কৃত, এটা অপপ্রচার চালানো হচ্ছে।
রটানো হচ্ছে, ওই ছেলেধরা এসেছে। ওই লন্ডভন্ডকারী দানবরা রাজনীতি চরিতার্থ করছে। কোনও ঘটনা সন্দেহজনক মনে হলে থানায় অভিযোগ করুন। নিজের হাতে আইন নেবেন না।
আগে রাজ্য মাধ্যমিকে ভালো নম্বর পেতো না। এখন অনেক নম্বর বেড়ে গেছে। আমাদের ছেলে, মেয়েরাও ভালো নম্বর পায়।
যারা দেশের সবাইকে একসঙ্গে নিয়ে চলে তারাই দেশনেতা। আর যারা নিজেদেরকে নিয়ে চলে আর দেশকে ধ্বংস করে তারা দেশনেতা হতে পারে না। এই উগ্র অন্ধ উন্মাদদের বিরুদ্ধে জোট বাঁধুন। মানুষই ভেদাভেদ করতে দেবে না।
চালাও বন্দুক। কটা বন্দুক চলবে? এসো লড়াই করো। তোমাদের বন্দুক চলবে আর আমার সঙ্গে থাকবে মানুষ। দেখা যাবে কারা জিতবে।
দেখুন ভিডিও!
ক্লিক করুন নীচের লিঙ্কে-
Be the first to comment