২০১৭-১৮ সালের আর্থিক বছরের রিপোর্টে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জানায়, বাতিল হওয়া নোটের ৯৯.৩ শতাংশই ফিরে এসেছে। তার পরে নতুন করে নোটবন্দি নিয়ে মোদী সরকারের সমালোচনায় নেমেছে বিরোধীরা। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় টুইট করেছেন, নোটবন্দি জনবিরোধী পদক্ষেপ ছিল। ‘নোটবন্দির প্রভাব পড়েছে কৃষি ও অসংগঠিত ক্ষেত্রে৷ আরবিআই-এর রিপোর্ট সেটাই প্রমাণ করল৷ তা হলে কালো টাকা গেল কোথায়? কালো টাকা সাদা করতেই এই পদক্ষেপ? কাকে সুবিধা পাইয়ে দিতে এই সিদ্ধান্ত? এই সিদ্ধান্ত ট্র্যাজেডির, লজ্জার৷’
কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম বলেন, বিশ্বের কোনও অর্থনীতিবিদ নোটবন্দিকে সমর্থন করেননি। তিনি বলেছেন, রিজার্ভ ব্যাঙ্কের রিপোর্টে বোঝা গেল, কেন্দ্রীয় সরকার কেবল ১৩ হাজার কোটি টাকা নোটবন্দি করেছে। কিন্তু তার জন্য দেশকে মূল্য দিতে হয়েছে অনেক। মোট জাতীয় উৎপাদন কমেছে ১.৫ শতাংশ। তার মানে বছরে ক্ষতি ২.২৫ লক্ষ কোটি টাকা। ১০০ জনের বেশি মারা গিয়েছেন। ১৫ কোটি দিনমজুর কয়েক সপ্তাহ বেকার হয়ে থেকেছেন। বহু ছোট ও মাঝারি কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাতে কোটি কোটি চাকরির সুযোগ নষ্ট হয়েছে।
Be the first to comment