সোমবার ভোটগণনা শুরুর ঘণ্টা দুয়েকের মধ্যেই পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল ছবিটা। শিলিগুড়ি, আসানসোল, চন্দননগর এবং বিধাননগরের পুরনিগম চলে আসে তৃণমূলের দখলে। এই অভূতপূর্ব জয়ে মানুষকে ধন্যবাদ জানালেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বিজেপিকে একহাত নিয়ে বলে দেন, কোনও কাজ না করার জন্যই শিলিগুড়িতে ভরাডুবি হয়েছে গেরুয়া শিবিরের।
এদিন টুইটারে দলনেত্রী লেখেন, “আবারও মা-মাটি-মানুষের জয়। আসানসোল, বিধাননগর, শিলিগুড়ি এবং চন্দননগরের মানুষকে অভিনন্দন। তৃণমূলের উপর ভরসা রাখার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।” এরপরই জুড়ে দেন, “আমরা এভাবেই উন্নয়নের কাজ করে যাব। এমন জয়ের জন্য সকলের কাছে আমি কৃতজ্ঞ।”
আসানসোল, বিধাননগর এবং চন্দননগর এমনিতেই তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। তবে এই প্রথম শিলিগুড়ি পুরনিগম হাতে এল ঘাসফুল শিবিরের। গত বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলের দিকে তাকালেও দেখা যাবে, উত্তরের এই শহরের পুরনিগমের প্রায় সব ওয়ার্ডেই এগিয়ে ছিল বিজেপি। এবার বদলে গেল সেই ছবিটা। শিলিগুড়িতে ৪৭টি আসনে মধ্যে ৩৭টি তৃণমূলের দখলে। বিজেপি পেয়েছে ৫টি, সিপিএম ৪টি এবং কংগ্রেস পেয়েছে একটি আসন। এমন ফলাফলের পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দেন, দার্জিলিং, শিলিগুড়ির জন্য যে কাজ করার কথা ছিল, বিজেপি তা করেনি। উত্তর আর দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, জলপাইগুড়িতেও কোনও কাজ করেনি ওরা। এরপরই বাকি পুরনিগম নিয়ে যোগ করেন, “দক্ষিণবঙ্গের কথা তো ছেড়েই দিন। যা করেছি আমরাই।”
বিজেপির পাশাপাশি মমতা একহাত নেন সিপিএম এবং কংগ্রেসকেও। ফের তিন দলকে ‘জগাই-মাধাই-গদাই’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। বলে দেন, “কখনও বিজেপি সিপিএমকে ভোট দেয়, কখনও সিপিএম বিজেপিকে। আবার কখনও বিজেপিকে ভোট দেয় কংগ্রেস, কখনও কংগ্রেস বিজেপিকে।” সবমিলিয়ে শান্তিপূর্ণ ভোট হয়েছে বলে দাবি করে সাধারণ মানুষকেই ধন্যবাদ জানালেন মমতা।
Be the first to comment