উদ্ধব ঠাকরের শপথগ্রহণে আজ থাকছেন না মমতা বন্দোপাধ্যায়

Spread the love

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে বৃহস্পতিবার উদ্ধব ঠাকরের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও বিশেষ আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচির কারণে তিনি ওই আমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারছেন না। তবে, নিজে উপস্থিত থাকতে না-পারলেও, একজন প্রতিনিধি পাঠাবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ, বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের শিবাজি পার্কে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেবেন শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে। যদিও, প্রথমে ঠিক হয়েছিল ১ ডিসেম্বর, রবিবার শপথ নেবেন উদ্ধব। পরে, সিদ্ধান্ত বদলে, শপথ গ্রহণের দিন এগিয়ে আনা হয়।

বাল ঠাকরের অন্ত্যেষ্টিস্থল মুম্বইয়ের শিবাজি পার্ককেই শপথ গ্রহণের জন্য বেছে নিয়েছেন উদ্ধব ঠাকরে। তাঁর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে থাকার আমন্ত্রণ পেয়েছেন দেশের তাবড় রাজনৈতিক নেতানেত্রী। নিমন্ত্রণ পেয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মমতা জানিয়েছেন, পূর্ব নির্ধারিত অনুষ্ঠানের কারণে উদ্ধবের শপথগ্রহণে তিনি থাকতে পারছেন না। তবে, তাঁর প্রতিনিধি সেখানে থাকবেন।

শপথের আগে বুধবার দফতর বণ্টন নিয়ে এনসিপির বর্ষীয়ান নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে কথা বলেন কংগ্রেসের শীর্ষ নেতা আহমেদ প্যাটেল ও মল্লিকার্জুন খাড়গে। সূত্রের খবর, উদ্ধবের মন্ত্রিসভায় উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন অজিত পাওয়ার। উপমুখ্যমন্ত্রী পদে কংগ্রেসের বালাসাহেব থোরাটের নামও উঠে এসেছিল। কিন্তু, সূত্রের খবর, একজনই উপমুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। কংগ্রেসকে স্পিকারের পদ দেওয়া হতে পারে।

উদ্ধবের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য সনিয়া ও রাহুল গান্ধীকে ব্যক্তিগত ভাবে আমন্ত্রণ জানাতে দিল্লিতে গিয়েছিলেন আদিত্য ঠাকরে। এখনও পর্যন্ত যা খবর, দু-জনের কেউই থাকতে পারবেন না।

মহারাষ্ট্রে শিবসেনা ও বিজেপি জোট করে নির্বাচনে লড়লেও মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি নিয়ে বিরোধ সামনে আসে। শিবসেনা দাবি করে, ৫০-৫০ শর্তেই জোট হয়েছিল। তাই দু’দলের মুখ্যমন্ত্রী আড়াই বছর করে ক্ষমতায় থাকবেন। বিজেপিকে তা লিখিত ভাবে প্রতিশ্রুতি দিতে হবে।

শিবসেনার এই দাবি নস্যাত্‍‌ করে বিজেপি নেতৃত্ব। ফলে, দীর্ঘ তিন দশকের বন্ধুত্বে ছেদ পড়ে। বিজেপির হাত ছেড়ে এনসিপি ও কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠনের তোড়জোড় করে শিবসেনা। তার মধ্যেই এনসিপি নেতা, শরদ পাওয়ার ভাইপো অজিত পাওায়ারকে উপমুখ্যমন্ত্রীর টোপ দিয়ে, তড়িঘড়ি শপথ নেন দেব্রেন্দ্র ফড়নবীশ। বিষয়টি সুপ্রিম নজরে আনা হলে, আস্থাভোটে হারের আশঙ্কায় শপথ গ্রহণের তিন দিনের মাখায় রণেভঙ্গ দেন ফড়নবীশ ও অজিত পাওয়ার। দু-জনেই ইস্তফা দেন। ফলে, মহারাষ্ট্রে সরকার গঠন নিয়ে গত ক’দিন ধরে যে জটিলতা তৈরি হয়েছিল, তা কেটে যায়। শিবসেনা, এনসিপি, কংগ্রেস জোটের কাছে সরকার গঠনের দরজা খুলে যায়। জোটের নেতা হিসেবে উদ্ধব ঠাকরেকে মনোনীত করে, মুখ্যমন্ত্রীর দাবিদার হিসেবে তলে ধরা হয়। আজ, বৃহস্পতিবার শিবাজিপার্কে সেই শপথগ্রহণ।

মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গে জোট করে শিবসেনা পেয়েছে ৫৬টি আসন। বিজেপি একক ভাবে ১০৫টি আসন পেয়ে, বৃহত্তম দল হলেও সরকার গঠনের ম্যাজিক ফিগার ছিল না। এনসিপি ও কংগ্রেসের আসন সংখ্যা যথাক্রমে ৫৪ ও ৪৪। ২৮৮ আসন বিশিষ্ট মহারাষ্ট্র বিধানসভায় সরকার গঠনের ম্যাজিক সংখ্যা ১৪৫। কংগ্রেস, এনসিপি ও শিবসেনা জোটের ১৫৪টি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*