জীবন অনেক মূল্যবান, ভারতীয় পড়ুয়াদের দ্রুত দেশে ফেরানোর আর্জি মমতার

Spread the love

ইউক্রেনে আটকে পড়া পড়ুয়াদের জন্য আগেই কন্ট্রোল রুম খুলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরই সকল ভারতীয়দের দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠিও লিখেছিলেন তিনি। তাতে ছিল পাশে থাকার বার্তাও। কিন্তু আর বিষয়টি নিয়ে যে তিনি চুপচাপ থাকবেন না, তা দিন দুই আগেই বুঝিয়ে দিয়েছেন। ইউক্রেন ইস্যুতে কেন্দ্রকে তোপ আগেই দেগেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, ”প্রধানমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশে ভোট প্রচারে ব্যস্ত। তাই আমিও উত্তরপ্রদেশে যাচ্ছি। কিন্তু আমি আমার কর্তব্য পালন করে যাচ্ছি সেখানে।” এবার আবার ট্যুইটে সরব হলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ”ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের নিয়ে আমি খুব চিন্তিত। জীবন অনেক মূল্যবান। তাদের ফিরিয়ে আনতে এত সময় লাগছে কেন? এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কাজগুলো আগে করা হয়নি কেন? তাঁর সংযোজন, ”আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে অনুরোধ করছি, অবিলম্বে পর্যাপ্ত সংখ্যক ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হোক এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্ত পড়ুয়াদের ফিরিয়ে আনা হোক।”

আগে অবশ্য এই ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ”আমি সরকারের সমালোচনা করতে চাই না। বিশেষ করে পররাষ্ট্র বিষয়ে আমরা সবাই এক অবস্থানে। কিন্তু কখনও সখনও আমি দেখতে পারছি, বিদেশ নীতি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলির ক্ষেত্রে কিছু সমন্বয়ের অভাব থেকে যায় এবং রাজনৈতিক কারণে আমরা পিছিয়ে পড়ি। আর ইউক্রেনে আমাদের ছাত্ররা এখন আটকে আছেন।”

এর আগে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের দেশে ফেরানো নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে তিনি লিখেছিলেন, ‘যুদ্ধের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় আমাদের ভূমিকা বরাবরের মতোই একই থাকুক। ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগের পাশেই থাকবে পশ্চিমবঙ্গ। এই বিষয়ে আপনি সর্বদল বৈঠক ডাকুন। বর্তমান পরিস্থিতিতে সমস্ত রাজনৈতিক বিরোধিতা ভুলে সব দলকে এক হতে হবে। ভারত যাতে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে থাকতে পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে আমাদের সকলকে।” কিন্তু এখনও এ বিষয়ে সর্বদল বৈঠক হয়নি। এবার তাই ট্যুইটারে কেন্দ্রকে বিঁধলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*