বিশ্বভারতীতে গৈরিকীকরণের চেষ্টা করা হচ্ছে। মঙ্গলবারের পরে বুধবার ফের এই বিষয় নিয়ে তীব্র আক্রমণ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়। এই বিষয় নিয়ে এবার বিশ্বভারতীর আচার্য তথা তথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি পাঠাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী।
উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর আমলে বারবার বিশ্বভারতী উত্তাল হয়েছে। এই নিয়ে বিভিন্ন সময় সুর চড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদল। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেনকে অপমানজনক কথা বলায় তীব্র কটাক্ষ করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। জেলা সফরে দিয়ে মঙ্গলবার অমর্ত্য সেনের বাড়ি গিয়ে জমির সরকারি নথি তুলে দেন মমতা। দেখা করেন বিশ্বভারতীর বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের সঙ্গেও। এরপর, বুধবার বোলপুরের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় গর্বের। বলেন, শিক্ষার্থী থেকে শিক্ষক- শিক্ষিকা এবং কর্মচারীরা কাঁদছেন। তোপ দেগে মমতা বলেন, প্রতিবাদ করলে সাসপেন্ড বা রেস্ট্রিক্টেড করা হচ্ছে। প্রবীণ আশ্রমিক সুপ্রিয় ঠাকুরের বাড়িতেও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পাঁচিল তুলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মুখ্যমন্ত্রী।
ক্ষোভ উগরে মমতা বলেন, “উনি ডুগডুগি বাজিয়ে সকলকে অপমান করবেন। আর বিশ্বভারতীর গৈরিকীকরণ করবেন। সেটা চলতে পারে না। বিশ্বভারতীর আচার্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি নিয়ে আমি প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখব।“ একই সঙ্গে যাঁরা পড়তে চান, তাঁদের যদি কোনও ব্যবস্থার প্রয়োজন হয় তাহলে তিনি করে দেবেন বলে মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস দেন।
Be the first to comment