নেতাজির জন্মজয়ন্তীতে এবার বড় ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মস্তিস্কপ্রসূত প্ল্যানিং কমিশন এবার বাংলায় গঠন করা হবে। রেড রোডের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে রবিবার এই কথা ঘোষণা করলেন মমতা।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকার প্ল্যানিং কমিশন তুলে দিয়ে সেখানে নীতি আয়োগ নিয়ে এসেছে। এবার সেই নিয়েই কেন্দ্রকে তোপ দাগলেন মমতা। বললেন, “যাঁরা প্ল্যানিং কমিশন করতে দিলেন না, তাঁদের ধিক্কার আর লজ্জা জানাই।” একইসঙ্গে তৎকালীন জাতীয় প্ল্যানিং কমিশনের আদলে রাজ্যেও ‘বেঙ্গল প্ল্যানিং কমিশন’ তৈরি করার কথা ঘোষণা মমতার।
রেড রোডের অনুষ্ঠান থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “নেতাজি প্ল্যানিং কমিশনের পরিকল্পনা করেছিলেন। মোদী সরকার ক্ষমতায় এসে প্ল্যানিং কমিশন তুলে দিয়ে নীতি আয়োগ তৈরি করেছে। এটা লজ্জার। ধিক্কার জানানোর ভাষা নেই।” সেই সঙ্গে আক্রমণের ঝাঁঝ আরও বাড়িয়ে মমতার সংযোজন, “নেতাজি শুধু বাংলার নয়, গোটা বিশ্বের। নেতাজীর সিদ্ধান্ত আজও আমাদের জন্য গ্রহণযোগ্য। দিল্লি বাদ দিতে পারে, কিন্তু বাংলা তো পারে না। আমরা বেঙ্গল প্ল্যানিং কমিশন গঠন করছি। বাংলাই গোটা ভারতকে পথ দেখায়।”
শুধু জাতীয় প্ল্যানিং কমিশনের আদলে বেঙ্গল প্ল্যানিং কমিশনই নয়, এর পাশাপাশি গঠন করা হবে জয় হিন্দ বাহিনী। এনসিসি-র আদলে এই জয় হিন্দ বাহিনী গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রতিটি স্কুল ও কলেজে এই জয় হিন্দ বাহিনী শুরু হবে। এ ছাড়া নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নামে একটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এদিকে নেতাজির জন্মবার্ষিকীকে কেন্দ্র করে, রাজনৈতিক চাপানউতোর ক্রমেই বাড়ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রবিবার রেড রোডের অনুষ্ঠান থেকেও সেই কেন্দ্র-রাজ্য বিতর্ক আরও উস্কে দিলেন। ফের একবার উঠে এল ট্যাবলো বিতর্ক। প্রশ্ন তুললেন, “একটা ট্যাবলো রাখলে কী ক্ষতি হত?” ট্যাবলো বাতিল হওয়ার সম্পর্কে রাজ্যকে কোনও স্পষ্ট কারণ কেন্দ্রের তরফে এখনও পর্যন্ত কিছু জানানো হয়নি বলেই জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, “বাংলাকে এত অবজ্ঞা। সবটাই তো বাংলাকে ঘিরে। বাংলার ইতিহাস মুছে দেওয়ার ক্ষমতা কারও নেই।”
Be the first to comment