‘তৃণমূলে এলে আসতেই পারেন’, শান্তনুকে নিয়ে জল্পনা বাড়ালেন মমতাবালা

Spread the love

সুব্রত ঠাকুর বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার পর সরাসরি সুব্রত ও শান্তনু ঠাকুরকে তৃণমূলে স্বাগত জানিয়েছিলেন মমতাবালা ঠাকুর। শান্তনু ঠাকুর বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়ার বিষয়ে অবশ্য আর কোনও মন্তব্য করতে নারাজ তিনি। এ প্রসঙ্গে মঙ্গলবার মমতাবালা বলেন, ‘আমি কিছু বলতে পারব না। এটা সম্পূর্ণ তাঁর এবং বিজেপির ব্যাপার।’ যদিও বিজেপি নেতাদের সোশ্যাল মিডিয়া গ্রুপ ছাড়া এবং দলের বিরুদ্ধে মুখ খোলা প্রসঙ্গে মমতাবালা বলেন, ‘তাঁদের সৎ বুদ্ধি হোক। এর পরে বাজি ফাটাবে না বোমা ফাটাবে সেটা আমি বলতে পারব না।’

পাশাপাশি মতুয়া প্রসঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণও করেন মমতাবালা। তিনি বলেন, ‘ঠাকুর বাড়িতে এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহ কিন্তু, মতুয়াদের জন্য কিছুই করেননি। বিজেপি মতুয়াদের জন্য কিছুই করেননি। তবে গর্ব করে বলতে পারি, যা কিছু করার তা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।’

একইসঙ্গে তিনি তৃণমূলের যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে বলেন, ‘যদি তৃণমূলের কেউ আসতে চান, তিনি আসতেই পারেন। আমাদের কোনও আপত্তি নেই। অনেকেই তৃণমূল ছেড়ে চলে গিয়েছেন আবার ফিরেও এসেছেন। তবে সিদ্ধান্ত নেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।’ সোমবারই রাজ্য বিজেপিতে আর তাঁকে প্রয়োজন নেই, বলে দলের সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছেড়ে বেরিয়ে যান শান্তনু ঠাকুর।

সে দিনই প্রশ্ন উঠেছিল তবে কি এ বার দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ল কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর? রাজ্য বিজেপির প্রতি কার্যত ক্ষোভের সুর শান্তনু ঠাকুরের গলায়। কেন হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপগুলি থেকে বেরিয়ে গেলেন তিনি? প্রশ্নের উত্তরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘যেখানে প্রয়োজনীয়তা নেই, সেখানে থেকে কী করব?’ তবে কি মতুয়া ভোটের দিকেই ইঙ্গিত করছেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী?

নির্বাচনের সময় কেন্দ্র এবং রাজ্য নেতৃত্ব যেভাবে মতুয়াদের মন জয় করতে উঠে পড়ে লেগেছিলেন, ভোট মিটতেই তা উধাও। এই অভিযোগ তৃণমূল শিবিরের তরফ থেকে একাধিকবার এসেছে। এ বার ঘুরপথে তেমনটাই বললেন খোদ বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর।

২০২১ সালে বাংলা থেকে চার সাংসদ মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যেই রয়েছেন সাংসদ ও অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসঙ্ঘের সঙ্ঘাধিপতি শান্তনু ঠাকুর । মতুয়া ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখতেই বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে তাঁকে। এমনটাই অনুমান রাজনৈতিক মহলের একাংশের।শান্তনু মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে মমতাবালা বলেছিলেন, ‘শান্তনু মন্ত্রী হলে মতুয়াদের কোনও লাভ নেই, কেউ উচ্ছ্বসিতও নন।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*