পিয়ালি আচার্য,
মেদিনীপুরের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী ডাঃ মানস ভূঞ্যা। বারো ভূঞ্যার এক ভূঞ্যার বংশধর মানসবাবু দীর্ঘকাল কংগ্রেস রাজনীতি করেছেন। সবং বলতেই লোকে বুঝতো মানস ভূঞ্যাকেই। এলাকার উন্নয়নে ডাক্তারবাবু শুধু যে বিনা পয়সায় রোগী দেখেন তাই নয়। বিধানসভার ফ্লোরে এলাকার দাবিদাওয়া, চাহিদা তুলে ধরেন। মানসবাবু বলতেই একসময় লোকে বুঝতো কেলেঘাই, কপালেশ্বরী, বাঘোই নদী। এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রনে এই তিন নদীর সংস্কারে প্রাণপণ চেষ্টা করেছিলেন তিনি। কেন্দ্রীয় বাজেটে অর্থ বরাদ্দ করতে বাধ্য করেছিলেন তিনি। এহেন মানসবাবু প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হয়েছেন। হয়েছেন বিধানসভার কংগ্রেস দলের নেতাও। রাজ্যের মন্ত্রী হিসাবেও দায়ভার সামলেছেন। মানসবাবু মানুষের জন্য কাজ করতে চান। বিপিএল থেকে ১০০ দিনের কাজ। কেন্দ্রের বিভিন্ন প্রকল্পের সুফল মানুষকে পৌঁছে দিতে বাম আমল থেকেই সদা সচেষ্ট তিনি।
বাংলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবর্তনের সরকার গঠনের পর মানসবাবু মন্ত্রী হিসাবে কিছুদিন কাজ করেছিলেন। তখনই তিনি অনুভব করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই পারবেন জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে আবালবৃদ্ধবনিতার উন্নয়ন করতে। তাই পরবর্তীতে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও তাঁকে রাজ্যসভার সাংসদ করেন। তাঁর সবং আসনটি খালি হওয়ায় সেখানে উপনির্বাচনে মমতা প্রার্থী করেন মানসবাবুর স্ত্রী গীতারানী ভূঞ্যাকে। জিতে আসেন গীতা। ভোকাল মানসবাবু রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে যথেষ্ট দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। এরপর ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে মোদী বিরোধী যুদ্ধে মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে মানসবাবুকে প্রার্থী করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পশ্চিম মেদিনীপুরের ভূমিপুত্র মানস এই প্রচন্ড দাবদাহেও সকাল থেকে রাত অবধি করছেন পরিশ্রম। একদিকে শুক্রবার যেমন গোপনন্দনী মন্দিরে ও গুড়গুড়িপাল কালীমন্দিরে পুজো দিয়েছেন তিনি ঠিক তেমনই গোলাপিচক, ফুলপাহাড়ি, আমড়াতলা, ভগবতী চক, মুরাডাঙা, দেলুয়া, মুরাকাটা, নয়াগ্রাম, ইঞ্জিলিকা চক, মৌরা, হাদুলিয়া, এনায়েতপুর, রেরাপাল, মনিদাহা প্রভৃতি এলাকায় প্রচারও সারেন।
সোমবার নমিনেশন ফাইল করছেন মানসবাবু। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপি প্রার্থী বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। কিন্তু মানুষের কাছের মানুষ, কাজের মানুষ যে বিরোধীদের কুপোকাত করে ৫৪৩ জন সাংসদের মধ্যে একজন হতে পারবেন, সেটা এলাকায় ঘুরলেই বোঝা যায়।
দেখুন ভিডিও-
দেখুন ছবি-
Be the first to comment