যৌন সঙ্গমে বাধা দিয়েছিল তরুণী। আর সেই জন্যই খুন হতে হয়েছে মুম্বইয়ের উঠতি মডেল মানসী দীক্ষিতকে।পুলিশ আগেই জানিয়েছিল জেরায় মানসীকে খুনে কথা স্বীকার করেছে ধৃত অভিযুক্ত মুজাম্মিল সইদ। কিন্তু কেন মানসীকে খুন করেছিল সে তা জানা যায়নি। এ বার প্রকাশ্যে এল সেই কারণ। মুজাম্মিল জানিয়েছে, মানসীর সঙ্গে সেক্স করতে চেয়েছিল সে। রাজি হয়নি মানসী। আর সেই কারণেই তরুণীকে খুন করেছে সে। এমনটাই জানিয়েছে বাঙ্গুর নগর থানার পুলিশ।
গত সোমবার মালাডের কাছে জঙ্গলের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয় স্যুটকেস বন্দি এক তরুণীর দেহ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে উনিশ বছরের মুজাম্মিল সইদ নামের এক যুবক খুন করেছে বছর কুড়ির তরুণী মানসী দীক্ষিত। গ্রেফতার হয় অভিযুক্ত। পুলিশ জানিয়েছে, কিছুদিন আগে ফেসবুকের মাধ্যমে আলাপ হয় মানসী এবং মুজাম্মিলের। এরপর সোমবার মুজাম্মিলের সঙ্গে তার বাড়িতে দেখা করতে আসে মানসী। সেখানেই কোনও কারণে তাদের বচসা হয়। এবং রাগের বশে মানসীকে খুন করে মুজাম্মিল। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান ছিল প্রথমে মানসীর মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এবং তারপর শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে তাকে।
পুলিশ জানিয়েছে, খুনের পর মানসীর দেহ স্যুটকেসে ভরে মুজাম্মিল। এরপর অ্যাপ ক্যাব নিয়ে মালাড গিয়ে সেখান জঙ্গলের মধ্যে ফেলে আসে ওই স্যুটকেস। ফেরার সময়ে তাকে খালি হাতে দেখে ফেলেন ক্যাব চালক। সন্দেহ হওয়ায় খবর দেন পুলিশে। এরপরেই সামনে আসে আসল ঘটনা। মুজাম্মিলের ফোনের লোকেশন ট্র্যাক করে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। তদন্তে নেমে পুলিশের হাতে উঠে এসেছে আরও তথ্য। অন্ধেরি ওয়েস্টের মিলাট নগরের বাসিন্দা মুজাম্মিল ছিল সইদ পরিবারের দত্তক নেওয়া সন্তান। প্রতিবেশীরা পুলিশকে জানিয়েছিলেন, বরাবরই খুব রগচটা স্বভাবের ছিল মুজাম্মিল। এমনকী একবার মেরে মায়ের মাথাও ফাটিয়ে দিয়েছিল সে। যদিও সে কথা প্রকাশ্যে আনেননি মুজাম্মিলের পরিবার। যে আবাসনে মুজাম্মিল থাকতেন সেখানকার নিরাপত্তারক্ষী জামাল আনসারিও জানিয়েছেন, বছর তিনেক আগে মাকে হেনস্থা করেছিলেন সইদ। মাথা ফেটে গিয়েছিল তাঁর। তিনি আরও জানিয়েছেন, ঘটনার দিন দুপুর আড়াইটে নাগাদ মুজাম্মিলকে একটি স্যুটকেস হাতে বেরোতে দেখেছিলেন তিনি। এমনকী উঠতে দেখেছিলেন একটি ক্যাবেও। মানসী খুনে আরও নতুন তথ্য হাতে পাওয়ার জন্য আপাতত মুজাম্মিলকে জেরা করছে পুলিশ। তাদের অনুমান জেরায় আরও বেশ কিছু তথ্য প্রকাশ্যে আসবে।
Be the first to comment