মঙ্গলবার মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এই ঘটনার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন ধৃত মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী। শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় মানিককে গ্রেফতার করেছে ইডি। আর প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা তৃণমূল কংগ্রেসের পলাশিপাড়ার বিধায়ক মানিকের এই গ্রেফতারির বিরোধিতা করা হল সুপ্রিম কোর্টে। তাঁর দাবি, এই মামলায় সর্বোচ্চ আদালত রক্ষাকবচ দিয়েছে মানিক ভট্টাচার্যকে।
ঠিক কী বলেছেন মানিকের আইনজীবী? এদিন সুপ্রিম কোর্ট্ মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী জানান, এখান থেকেই সিবিআইকে বলা হয়েছে মানিক ভট্টাচার্যকে গ্রেফতার করা যাবে না। তারই মধ্যেই কেন ইডি তাঁকে গ্রেফতার করল? একই মামলায় রক্ষাকবচের পরিধি কী হওয়া উচিত? এই প্রশ্নই তুলে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করলেন মানিক ভট্টাচার্যের আইনজীবী। আজ, মঙ্গলবার দুপুর ২টোর পর বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসুর ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি উঠতে পারে বলে সূত্রের খবর।
কেন মানিককে গ্রেফতার করল ইডি? ইডি সূত্রে খবর, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে গত ২৩ জুলাই গ্রেফতার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আর সিবিআই–ইডির আতসকাচের তলায় ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন চেয়ারম্যান তথা পলাশিপাড়ার তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। এমন কিছু নথি ও তথ্যপ্রমাণ মিলেছে যার জেরে মানিককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পার্থ–মানিকের মোবাইল বার্তায় অনেক তথ্যপ্রমাণ উঠে এসেছে। যার উপযুক্ত জবাব দিতে পারেননি মানিক। তাই গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার রাতে মানিককে সিজিও কমপ্লেক্সে রাতভর জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডির অফিসাররা। অভিযোগ, তদন্তে সহযোগিতা করেননি মানিক। তাই তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি।
আর কী জানা যাচ্ছে? টেট দুর্নীতিতে মানিক ভট্টাচার্যকে সিবিআই দফতরে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তখন তাঁকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারিত করা হয়। তদন্তের প্রয়োজনে মানিককে গ্রেফতারও করতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা বলে নির্দেশ দিয়েছিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যান মানিক ভট্টাচার্য। তখন সর্বোচ্চ আদালত তাঁকে রক্ষাকবচ দিয়ে তদন্তে সহযোগিতা করতে নির্দেশ দেন। তারপরেও গ্রেফতার হলেন মানিক। এটা কী আদালত অবমাননা? উঠছে প্রশ্ন।
Be the first to comment