অশান্তি পিছু ছাড়ছে না মণিপুরে।বৃহস্পতিবার ভোরে কুকি-মেতেই সংঘর্ষে অন্তত ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম অন্তত ১০। এই নিয়ে রাজ্যে সংঘর্ষে মৃতের সংখ্যা ১১৬ হল। বেসরকারি মতে অবশ্য সংখ্যাটি অনেক বেশি। বুধবার সন্ধ্যায় ইম্ফলের লাম্ফেলে কুকি মন্ত্রী নেমচা কিপগেনের সরকারি আবাস আক্রমণ করে পুড়িয়ে দেয় মেতেইরা।
এদিকে বিজেপি শাসিত মণিপুরের দীর্ঘদিন চলা অশান্তি নিয়ে সরব কংগ্রেস।দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে টুইটে লেখেন,রাজ্যে এমন অরাজকতা চলছে যে দুষ্কৃতীরা পুলিশের অস্ত্রাগার থেকে ৪৫৭৩টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৫ লক্ষ গুলি লুঠ করেছে। কেন্দ্র শান্তির জন্য যা যা পদক্ষেপ করেছে, সবই ব্যর্থ হয়েছে। তারপরও নীরব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মণিপুর নিয়ে একটা বৈঠক করার সময় হল না তাঁর। কংগ্রেসের প্রশ্ন, বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকার মণিপুরে কেন শান্তি ফেরাতে ব্যর্থ? রাজনৈতিক স্বার্থে তাদের বিভাজন নীতির ফলেই কী এই ঘটনা?
এ দিকে ইম্ফলে ৮ জুন বিজেপি বিধায়ক কেবি দেবীর বাড়ি লক্ষ্য করে যে বোমা ছোঁড়া হয়, তা নিয়ে রহস্য দেখা দিয়েছে। মেতেইরা দাবি করেছিল কুকিরা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। কিন্তু গত ১১ জুন মেতেই জঙ্গি সংগঠন ইউএনএলএফ-এর বিবৃতিতে লেখা ছিল ওই বিস্ফোরণ তাদের ঘটানো। ‘স্বাধীনতা’ যুদ্ধের জন্য জনতার থেকে তোলা ১৯ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা তারা কেবির স্বামী গোবিন্দর হেফাজতে রেখেছিল। কিন্তু গোবিন্দ এখন সেই টাকা ফেরত দিচ্ছেন না। জঙ্গিদের হুমকি, ৩০ জুনের মধ্যে ওই টাকা ফেরত না দিলে ফল খারাপ হবে। ওই বিবৃতি তুলে ধরে কুকিরা সরব হওয়ার পরে অন্য একটি বিবৃতি প্রকাশ করে ইউএনএফএফ দাবি করে, তবে তারা বোমা বিস্ফোরণে যুক্ত নয়।
Be the first to comment