মণিপুরে ধসে ইতিমধ্যেই ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে দার্জিলিঙয়ের ৯ জন জওয়ান রয়েছেন। শুক্রবার তাঁদের মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি টুইটে লেখেন, মণিপুর ভূমিধসে হতাহতদের মধ্যে দার্জিলিং পাহাড়ের নয়জন জওয়ান (১০৭ টেরিটোরিয়াল আর্মি ইউনিট) রয়েছে জেনে আমি বিস্মিত। এই খবরে আমি গভীর শোকাহত। তাঁদের আত্মীয়দের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা।
মণিপুরে ধসে ইতিমধ্যেই ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে দার্জিলিঙয়ের ৯ জন জওয়ান রয়েছেন। তাদের নাম মিলন তামাং, দিবাকর থাপা, বেঞ্জামিন রাই, মহম্মদ জাইরুল হক, মারকস গুরুং, শংকর ছেত্রী, সেরিং লেপচা, সীতারাম রাই এবং বিশাল ছেত্রী। শনিবার বাগডোরা বিমানবন্দরে তাঁদের দেহ পৌঁছবে বলে জানান দার্জিলিংয়ের জেলাশাসক।
বুধবার গভীর রাতে মণিপুরের টুপুলে নির্মীয়মাণ রেল স্টেশনের কাছে ব্যাপক ধস নামে। সেখানেই কাজ করছিলেন ভারতীয় সেনা বাহিনীর ১০৭ নম্নর ব্যাটেলিয়নের টেরিটোরিয়াল আর্মির সদস্যরা। ধসের কারণে আটকে পড়েন বেশ কয়েকজন জওয়ান।
শুক্রবার পর্যন্ত ২০ জনকে জীবিত উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। যাঁদের মধ্যে রয়েছেন ১৫ জন জওয়ান এবং ৫ জন সাধারণ নাগরিক। এই ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের। যার মধ্যে দার্জিলিঙয়েরই ৯ জন। এখনও নিখোঁজ রয়েছে ১৫ জন জওয়ান এবং ২৯ জন নাগরিক। ধ্বংসস্তূপের নীচে যাঁদের আটকে থাকার আশঙ্কা রয়েছে। উদ্ধারকার চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী এবং অসম রাইফেলস টেরিটোরিয়াল আর্মি। সেনা বাহিনীর এক কর্মকর্তার মতে, আবহাওয়াও খারাপ হওয়ার কারণে উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে।
স্থানীয় প্রশাসনিক সূত্রের দাবি, রেলকর্মী, এলাকার বাসিন্দা এবং জওয়ান মিলিয়ে প্রায় ৬০ জনের খোঁজ মিলছে না। নিখোঁজদের মধ্যে বাংলারও কয়েকজন জওয়ান আছেন।
Be the first to comment