যাবতীয় জল্পনার অবসান। মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে ফের এন বীরেন সিংকে বেছে নিল বিজেপি। রবিবার সরকারিভাবে উত্তর-পূর্বের রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বীরেন সিংয়ের নাম ঘোষণা করে দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী তথা বিজেপির মণিপুর বিজেপির পর্যবেক্ষক নির্মলা সীতারমণ।
অন্যান্য রাজ্যের মতো মণিপুরে ভোটের আগে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসাবে কারও নাম ঘোষণা করেনি বিজেপি। যদিও ভোটের প্রচার থেকে শুরু করে রণকৌশল তৈরি করা, সবটাই হয়েছিল এন বীরেন সিংয়ের নেতৃত্ব। মূলত তাঁর ক্যারিশ্মাতেই মণিপুরে একক শক্তিতে ক্ষমতায় এসেছে বিজেপি। সমস্যা হল, বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেলেও সেটা একেবারে সামান্য ব্যবধানে। তাই মুখ্যমন্ত্রী বাছাইয়ের আগে বাড়তি সতর্ক থাকতে হচ্ছিল গেরুয়া শিবিরকে। বীরেন সিংয়ের পাশাপাশি লড়াইয়ে ছিলেন দলের পুরনো সৈনিক বিশ্বজিত সিং এবং আরএসএসের পছন্দ ইয়ামনাম খেমচাঁদ। কিন্তু শেষপর্যন্ত বিধায়কদের ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন বীরেন সিংই।
মণিপুরে মুখ্যমন্ত্রী নিয়ে জটিলতা কাটলেও আরেক রাজ্য নিয়ে এখনও ঘাম ঝরাতে হচ্ছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে। সমস্যা হল উত্তরাখণ্ডের বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি নিজে হেরে গিয়েছেন। যার ফলে সমস্যা অনেক বেড়ে গিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বের। ধামির নেতৃত্বেই জয় এসেছে, তাই দলের একটা বড় অংশ ধামিকে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে চাইছেন। আবার ‘হেরো’ প্রার্থীকে মুখ্যমন্ত্রী করতে নারাজ দলের আরেকটা অংশ। সেজন্য ভাবতে হচ্ছে অন্য বিকল্পগুলির কথাও। বিকল্প হিসাবে সবার আগে যার নাম ভেসে আসছে তিনি হলেন আরেক প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ত্রিবেন্দ্র রাওয়াত। রবিবারই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব রাওয়াত এবং ধামিকে দিল্লিতে তলব করেছিলেন। সোমবার উত্তরাখণ্ডের বিধায়কদের বৈঠকের পরই নাকি ঠিক হবে কে হবেন উত্তরাখণ্ডের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী।
উত্তরপ্রদেশ এবং গোয়ায় বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর মুখ আগে থেকেই ঘোষিত। তাই এই দুই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রীর পদ নিয়ে কোনও সংশয় নেই। কিন্তু উত্তরপ্রদেশে অন্য একটি সমস্যা দেখা দিয়েছে বিজেপি নেতৃত্বের সামনে। বিদায়ী উপমুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্য নির্বাচনে পরাস্ত হয়েছেন। তাঁকে কি যোগীর মন্ত্রিসভায় দেখা যাবে? সেটা নিয়েও জোর জল্পনা চলছে রাজনৈতিক মহলে।
Be the first to comment