মুজাফফরপুরের হোমে ধর্ষণকাণ্ডে নাম জড়ানোয় পদত্যাগ করলেন বিহারের সমাজকল্যাণ দফতরের মন্ত্রী মঞ্জু বর্মা। বুধবার তিনি তাঁর পদত্যাগপত্র জমা দেন। অভিযোগ, তাঁর স্বামী চন্দ্রশেখরের সঙ্গে দহরম মহরম ছিল প্রধান অভিযুক্ত ব্রজেশ ঠাকুরের। সেজন্যই আগেও কয়েকবার অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও তদন্ত দিনের আলো দেখেনি। ঘটনার কতা জানাজানি হতেই চাপ বাড়তে থাকে নীতীশের জেডিইউয়ের ওপর। বিরোধীদের সঙ্গে চাপ বাড়ায় জোটসঙ্গী বিজেপিও। সিবিআই জানিয়েছে, শুধু চন্দ্রশেখরই নন, এফআইআর দায়ের হওয়ার পর থেকে গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত অনেক প্রভাবশালী নেতা মন্ত্রীর সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করেছিলেন ঠাকুর। ৩১ মে থেকে ২ জুনের মধ্যে কয়েকজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীসহ বিহারেরও আরও কয়েকজন মন্ত্রী রয়েছেন সেই তালিকায়। মোট ৩ নম্বর মিলেছে ব্রজেশের। গ্রেফতার হওয়ার আগে পর্যন্ত তার সমস্ত কল রেকর্ড খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে সোমবার পর্যন্ত ব্রজেশের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগের কথাই অস্বীকার করেছিলেন মঞ্জুবর্মা ও তাঁর স্বামী। এমনকি তাঁকে ক্লিন চিট দিয়েছিলেন স্বয়ং নীতীশ কুমারও। এবার কল রেকর্ডের তথ্য সামনে আসতেই অন্য সুর মন্ত্রী বর্মার। স্বীকার করছেন, ব্রজেশ তাঁদের টেলিফোন করতেন। যেহেতু তিনি একজন জনপ্রতিনিধি, অনেকেই তাঁকে টেলিফোন করতেন। বলা বাহুল্য তাঁর ব্যাখ্যায় সন্তুষ্ট হয়নি রাজনৈতিক মহল। বাধ্যহয়েই মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন তিনি।
Be the first to comment