বিশেষ প্রতিনিধি,
এবছর নাথুলা পাস দিয়ে প্রায় ১৮ দল তীর্থযাত্রী সেখানে গিয়েছিলেন। প্রত্যেকটি দলে ৬০ জন করে ছিলেন। প্রায় ১৫৮০ জন তীর্থযাত্রী এবছর নাথুলা পাস দিয়ে মানসরোবর গিয়েছিলেন। মানসরোবরে পূণ্যস্নানই এই যাত্রার মূল উদ্দেশ্য থাকে তীর্থ যাত্রীদের। এই কৈলাস মানসরোবর যাত্রা নিয়ে ভারতের সঙ্গে বিবাদ চলছিল আগে থেকেই। প্রায় টানা ৭২ দিন নাথুলা পাস দিয়ে মানসরোবর যাত্রা করতে দেয়নি চীন। কারণ ছিল একটাই ডোকা লা। পরে চীনের সঙ্গে আলাপ আলোচনার পর নাথুলা পাস খুলে দেওয়া হয় মানসরোবর যাত্রীদের জন্য।
ঠিক তার ২০ দিন পরেই তীর্থযাত্রীরা ফিরে এসে অভিযোগ করেন, মানসরোবরে পূণ্যস্নান করতে দেওয়া হয়নি তাঁদের। চুক্তি অনুযায়ী নাথুলা পাসের পর থেকে চীনা সেনাই ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের মানসরোবর পর্যন্ত নিয়ে যায়। সেই চুক্তি মেনেই নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তাঁদের। কিন্তু মানসরোবরে পূণ্যস্নান করতে দেওয়া হয়নি।
প্রসঙ্গত, ডোকালাম বিবাদের পর চিন, কৈলাস মানস সরোবরে ভারতীয় পূণ্যার্থীদের জন্য নাথু লা পাস বন্ধ করে দেয়৷ এরপরেই সুষমা স্বরাজ চিনা বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন৷ বিদেশ মন্ত্রকের মতে প্রায় ১৫৮০ পূণ্যার্থী চলতি বছরে কৈলাসে যাবেন৷ দুটি রাস্তা সেক্ষেত্রে ব্যবহার করা হবে, যার মধ্যে একটি নাথু লা এবং অপরটি উত্তরাখণ্ডের লিপুলেখ লা৷ প্রায় চার মাস ধরে এই এই কৈলাসযাত্রা চলবে৷
Be the first to comment