চিরন্তন ব্যানার্জি, কলকাতাঃ আগামী ২৭ তারিখ ছাত্র সমাজের ডাকে আরজি কর ঘটনার প্রতিবাদে, মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে নবান্ন অভিযান। ওইদিনের নবান্ন অভিযানকে কেন্দ্র করে আঁটসাঁট নিরাপত্তার ব্যবস্থা নিতে চলেছে নবান্ন। ইতিমধ্যেই একাধিক জেলার উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তাদের ডেকে পাঠানো হল কলকাতায়।
উল্লেখ্য, শুক্রবার দুপুরে কলকাতা হাইকোর্ট এই মামলায় হস্তক্ষেপ করে নি। তারপরই, ওই দিনে বিকালে ছাত্রসমাজের তিন প্রতিনিধি সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন তাঁদের রুট কি বা কেন এই অভিযান। অতএব বলাই বাহুল্য এই অভিযানের আর কোনো বাঁধা রইলো না। এরপরই শনিবার পুলিশের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে একাধিক উচ্চপদস্থ অফিসারদের নাম উল্লেখ করে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে কলকাতায় আসার জন্য। বলা হয়েছে, এই অফিসাররা আগামী ২৬ অগস্ট, সোমবার বিকেল ৪টের মধ্যে কলকাতা পুলিশ কমিশনারের কাছে রিপোর্ট করবেন। হাওড়া শরৎ সদনে তাঁদের সকলকে নবান্ন অভিযানের দিনের ডিউটি বুঝিয়ে দেওয়া হবে। সেই মতোই তাঁদের কাজ করতে হবে। আর এই অভিযান শেষ হলেই তাঁরা নিজেদের পুরনো ডিউটিতে ফিরে যাবেন।
শিলিগুড়ি, ব্যারাকপুর, তমলুক, ঝাড়গ্রাম, বারুইপুর, বারাসত, রানাঘাট, বসিরহাট সহ একাধিক জেলা থেকে এসপি, ডিসিপি থেকে শুরু করে অ্যাডিশনাল ডিসি এবং ইন্সপেক্টর র্যাঙ্কের অফিসারদের ডাকা হয়েছে নবান্ন অভিযানের ডিউটির জন্য। এদিনের এই নির্দেশিকায় এও উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে যে সমস্ত অফিসাররা আসবেন তাঁরা যেন নিজেদের সঙ্গে ঢাল, লাঠি, হেলমেট, বডি প্রটেক্টিভ গিয়ার, রেনকোট, ছাতা ইত্যাদি রাখেন। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, নবান্ন অভিযান নিয়ে কতটা তৎপর পুলিশ প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবারই দেশের উচ্চ আদালত এই বিষয়ে জানিয়েছিলেন, শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকে কোনওভাবেই আটকানো যাবে না বা প্রতিবাদীদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা নেওয়া যাবে না। একই সঙ্গে আদালত এও বলে, প্রয়োজনে রাজ্য সরকার অবশ্যই আইনি পদক্ষেপ করতে পারবে। তবে যতক্ষণ তার প্রয়োজন না পড়ছে, যতক্ষণ প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ, ততক্ষণ কোনও বাধা দেওয়া যাবে না। শুক্রবার একই কথা জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টও।
Be the first to comment