এবার আবার ধরা পরল ভারতে মাঙ্কিপক্স, যা কোভিডের ন্যায় সমান ছোঁয়াচে

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক :-

কোভিডের মর্মান্তিক স্মৃতি এখনও মুছে যায়নি কারও মন থেকেই। তায় আবার মাঙ্কি পক্সের বাড়বাড়ন্ত। এই নিয়ে দু’বছরে দু’বার মাঙ্কি পক্স নিয়ে জরুরি অবস্থার ঘোষণা করল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
মাঙ্কিপক্স ঘিরে ক্রমশ উদ্বেগ বাড়ছে ভারতে। মাঙ্কি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে এল। কেরলের ত্রিশূরে মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত হয়ে ২২ বছর বয়সি এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। কেরলের পাশাপাশি দিল্লিতেও হদিস মিলেছে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির। সংক্রমিত ব্যক্তির বিদেশসফরের কোনও যোগ নেই। এর আগে কেরলে যে তিন জন মাঙ্কিপক্সে সংক্রমিত হয়েছিলেন, তাঁরা সকলেই বিদেশ থেকে ফিরেছিলেন। বিশ্ব জুড়ে ৭৫টি দেশে ১৮ হাজারেরও বেশি মানুষ এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
কোভিডের মতোই ছোঁয়াছে এই রোগ। পশু থেকে মানুষে বা মানুষ থেকে মানুষে ছড়াতে পারে সংক্রমণ। আক্রান্তের ক্ষত বা দেহ তরলের সংস্পর্শে আসা জামা-কাপড় থেকেও কিন্তু ছড়াতে পারে এই মাঙ্কি পক্স। এই রোগের উপসর্গ দেখলে কী করবেন?
প্রথমেই এই রোগের উপসর্গ দেখলে পরীক্ষা করাতে হবে। জ্বর, ক্লান্তি, গা ব্যথা, লসিকা গ্রন্থি ফুলে যাওয়া ও ত্বকে ক্ষত তৈরির মতো উপসর্গ দেখা দিলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
মাঙ্কিপক্সের উপসর্গ সাধারণত সংক্রমণের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে দেখা যায়। যদি এই ভাইরাসে আক্রান্ত কারও সংস্পর্শে আসেন, তবে আগে থেকেই আলাদা থাকা ভাল। তাতে বাকিদের মধ্যে সংক্রমণের ঝুঁকি কমবে।
আলাদা থাকার সঙ্গেই স্নানের গামছা, তোয়ালে আলাদা করতে হবে। যত ক্ষণ না পরীক্ষার ফল হাতে আসছে, তত ক্ষণ সতর্ক থাকতে হবে।
অনেকের ধারণা এই ভাইরাস নতুন। কোভিডের মতোই হঠাৎ হানা দিয়েছে। এমনটা নয়। আশির দশকে মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব। তার পর থেকে মূলত পশ্চিম এবং মধ্য আফ্রিকার দেশগুলিতেই এই রোগ সীমাবদ্ধ ছিল। কারণ মাঙ্কিপক্স পশুবাহিত রোগ। আর যে ধরনের পশুর শরীর থেকে এ রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা তারা মূলত গ্রীষ্মপ্রধান এলাকার বৃষ্টি বনাঞ্চলের (রেন ফরেস্ট) বাসিন্দা।
অনেকের ধারণা, মাঙ্কিপক্স চিকেন পক্সের সমতূল্য। এই রোগে মৃত্যু হয় না। এ ধারণা ভুল। চিকেন পক্সের ক্ষেত্রে কেবল গায়ে র‌্যাশ কিংবা গোটা বেরোয়। মাঙ্কিপক্সের ক্ষেত্রে সারা গায়ের পাশাপাশি, লসিকাবাহেও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে। এই ভাইরাসের কারণে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভাল থাকলে মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তিরা ২১ দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে যাচ্ছেন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে গুটিবসন্ত রোগের টিকাও এই রোগ সংক্রমণ রুখতে কার্যকর। ইউরোপ ও আমেরিকায় মাঙ্কিপক্সের টিকা দেওয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*