প্রাণ বাঁচাতে বহু আতঙ্কিত মানুষ শেষ সম্বলটুকু নিয়ে মুর্শিদাবাদ ছেড়ে পালাচ্ছেন! সোশ্যাল মাধ্যমে ভিডিও প্রকাশ শুভেন্দুর..

Spread the love

রোজদিন ডেস্ক, কলকাতা:- ওয়াকফ বিরোধী আন্দোলনের নামে মুর্শিদাবাদে ‘হিন্দু নিধন যজ্ঞ’ চলছে বলে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের শিকার হয়ে নিরীহ হিন্দুরা কীভাবে মুর্শিদাবাদ ছেড়ে পালাচ্ছেন, তার একাধিক ভিডিয়ো প্রকাশ করে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি। সেইসঙ্গে এই ভয়াবহ পরিস্থিতির জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘তোষণ রাজনীতি’কেই তিনি দায়ী করেছেন।

শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ, ওয়াকফ সংশোধনী আইনের বিরোধিতার নামে গত মঙ্গলবার থেকে মুর্শিদাবাদ জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় ‘হিন্দু বিরোধী দাঙ্গা’ শুরু হয়েছে। জঙ্গিপুর মহকুমার বিভিন্ন প্রান্তে হিন্দুদের বাড়িঘর ও দোকানপাট ভাঙচুর করে জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে। ফলস্বরূপ, গত ১৪ বছরে এই প্রথমবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে বাধ্য হয়েছে রাজ্য প্রশাসন। পরিস্থিতির গুরুত্ব অনুধাবন করে শনিবার কলকাতা হাইকোর্ট বিশেষ বেঞ্চ গঠন করে অবিলম্বে মুর্শিদাবাদে শান্তি ফেরানোর নির্দেশ দিয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে রবিবার সকালে সেখানকার পরিস্থিতি নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।

সোশ্যাল মিডিয়ায় একাধিক ছবি ও ভিডিয়ো শেয়ার করে শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন,’ধর্মীয়ভাবে প্ররোচিত ধর্মান্ধদের ভয়ে মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান থেকে ৪০০ জনেরও বেশি হিন্দু নদী পার করে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন। মালদার বৈষ্ণবনগরে অবস্থিত দেওনাপুর- শোভাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পার লালপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তাঁরা। বাংলায় ধর্মীয় নিপীড়ন এখন বাস্তব। তৃণমূল কংগ্রেসের তোষণের রাজনীতি উগ্রপন্থীদের মদত দিয়েছে। হিন্দুদের শিকার করা হচ্ছে, মানুষ তাদের নিজের দেশে তাদের জীবন বাঁচাতে দৌড়াচ্ছে! আইনশৃঙ্খলার এই অবনতি ঘটতে দেওয়ার জন্য রাজ্য সরকারকে ধিক্কার। আমি জেলায় মোতায়েন কেন্দ্রীয় আধাসামরিক বাহিনী, রাজ্য পুলিশ এবং জেলা প্রশাসনকে অনুরোধ করছি যে তারা এই বাস্তুচ্যুত হিন্দুদের নিরাপদে প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করুন এবং এই জেহাদি সন্ত্রাস থেকে তাদের জীবন রক্ষা করুন। বাংলা জ্বলছে। সামাজিক কাঠামো ছিন্নভিন্ন। যথেষ্ট হয়েছে।’

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*