বেশ কয়েকদিন ধরে মাওবাদী কার্যকলাপে উত্তপ্ত হয়ে রয়েছে ওড়িশা, ছত্তীসগড়, বিহারের বিস্তীর্ণ এলাকা। দফায় দফায় নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে গুলি বিনিময় চলছে মাওবাদীদের। সোমবার সকালেও এনকাউন্টারে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলিতে খতম হয়েছে ৫ মাওবাদী।
সূত্রের খবর, সোমবার সকালে ওড়িশার মালকানগিরি’র কালিমেদা অঞ্চলে টহল দেওয়ার সঙ্গে মাওবাদীদের একটা ছোট্ট দলের মুখোমুখি হন নিরাপত্তারক্ষীরা। সঙ্গে সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে মাওবাদীদের গুলি বিনিময় শুরু হয়। বেশ কিছুক্ষণ গুলির লড়াই চলার পর খতম হয় ৫ মাওবাদী।
জানা গেছে, মাওবাদীরা ওই এলাকায় ল্যান্ডমাইন লাগানোর উদ্দেশ্যে এসেছিল। মাঝেমধ্যেই ওই এলাকা দিয়ে নিরাপত্তারক্ষীদের গাড়ি যাতায়াত করে। এই গাড়িই ছিল তাদের নিশানা। কিন্তু ভাগ্যক্রমে সেই সময়ই সেখানে নিরাপত্তারক্ষীদের দল গিয়ে পৌঁছায়। অতর্কিতে হামলায় মোকাবিলা করার সুযোগ পায়নি মাওবাদীরা। দেহগুলিকে নিয়ে গেছেন নিরাপত্তারক্ষীরা। তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এর আগে ২৯ অক্টোবর, বিহারে মাটির তলায় ১০ কেজি ওজনের একটি তাজা বোমা উদ্ধার করেন নিরাপত্তারক্ষীরা। মাওবাদীরা সেটি ওখানে রেখে গেছিল বলে অনুমান। পরের দিনই মাওবাদী হামলায় ছত্তীসগড়ের দান্তেওয়াড়াতে নিহত হন দূরদর্শনের ক্যামেরাম্যান অচ্যুতানন্দ সাউ। নির্বাচনের আগে সেখানকাল হালহকিকত জানতেই মঙ্গলবার দিল্লি থেকে দন্তেওয়াড়া গিয়েছিলেন দূরদর্শনের তিন কর্মী। আচমকাই মাওবাদী হামলায় মৃত্যু হয় ওই তিনজনের মধ্যে একজনের। মৃত্যু হয় দুই পুলিশ কর্মীরও। ঘটনাস্থলে অচ্যুতানন্দের সঙ্গেই ছিলেন দূরদর্শনের আরও দুই কর্মী ধীরজ কুমার এবং মোরমুক্ত শর্মা।
এই হামলার পরেই তল্লাশির পরিমাণ আরও বাড়িয়ে দিয়ে নিরাপত্তারক্ষীরা। তার মধ্যেই মাওবাদীদের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, হামলার পরিমাণ আরও বাড়বে। তবে সংবাদমাধ্যম তাদের নিশানাই ছিল না। কিন্তু মাওবাদীদের এই বক্তব্য উড়িয়ে দেয় পুলিশ। সব মিলিয়ে এখনও যথেষ্ট থমথমে এলাকার পরিস্থিতি।
Be the first to comment