মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং জাহাজ তৈরি ও জাহজের রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কিত প্রযুক্তিবিদ্যা। একটি জাহাজের যন্ত্রপাতি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য একজন মেরিন ইঞ্জিনিয়ারকে জানতে হয়। জাহাজ তৈরির সময় থেকে শুরু করে জাহাজের নিত্যদিনের যন্ত্রপাতির রক্ষণাবেক্ষণ মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্ব। 4 বছর ধরে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের কলেজে পড়ে BE ডিগ্রি নিতে হয়।। সবাই চাকরি তো পায়ই বরং বহু মেরিন ইঞ্জিনিয়ার বিদেশে চাকরি নিয়ে চলে যাওয়ায়, আমাদের দেশে চাকরির বাজারে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের চাহিদা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের পড়ার জন্য 10+2 তে Physics, Chemistry, Mathematics থাকা দরকার। সেই সঙ্গে দরকার ভাল স্বাস্থ্য। প্রার্থীর উচ্চতা হবে অন্তত 150 cm। ওজন এবং বুকের ছাতি হবে সেই অনুপাত অনুসারে। বুকের ছাতি অন্তত 5 cm সম্প্রসারিত হওয়া চাই। চোখের দৃষ্টি হবে 6/6। বর্ণান্ধতা থাকলে চলবে না। মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং-এ BE করে Post Graduate ও Doctorate ও করা যায়।
মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য যেমন দরকার ভাল স্বাস্থ্য, তেমনই দরকার ইংরাজিতে ভাল বলা ও লেখার ক্ষমতা। গণিত ও প্রযুক্তিবিদ্যায় দক্ষতা। Marine Engineer-কে তার টিম নিয়ে অনেকদিন জাহাজে থাকতে হয়। সেইজন্য দরকার টিমের সঙ্গে মানিয়ে চলার ক্ষমতা। বিপদের সময় মাথা ঠান্ডা রাখার শক্তি। তাকে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যরক্ষা সম্বন্ধে অবগত থাকতে হয়। সবার ওপরে দরকার গভীর সমুদ্রে আত্মীয় পরিজন ছেড়ে ঝড় ঝঞ্ঝার মধ্য দিয়ে জাহাজে কাজ করার মানসিকতা। যাকে বলে অ্যাডভেঞ্চারের নেশা। সেটি না থাকলে যেমন তেমন লোকের পক্ষে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং চাকরি গ্রহণ করা উচিত হবে না। অন্যান্য ইঞ্জিনিয়ারদের তুলনায় মেরিন ইঞ্জিনিয়ারদের বেতন যথেষ্ট ঈর্ষা করার মতো। একজন জুনিয়ার ইঞ্জিনিয়ার ভারতীয় জাহাজে কাজ পেলে মাসে 20,000- 25,000 টাকা পাবেন। বিদেশি জাহাজ হলে অন্তত 71,000 টাকা। আর চিফ ইঞ্জিনিয়ার হতে পারলে মাসে 1,25,000 টাকা। সেই সঙ্গে অন্যান্য সুবিধা তো আছেই।
মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং-এর ছাত্রদের থিওরির সঙ্গে সঙ্গে প্রাকটিক্যালও বেশ গুরুত্ব সহকারে করানো হয়। থিওরিটিক্যাল বিষয়গুলির মধ্যে পড়ানো হয় ইংলিশ অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক্স, কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড মেরিন ম্যানেজমেন্ট। প্রাক্টিক্যাল বিষয়গুলোর মধ্যে রয়েছে অ্যাস্ট্রোনমি, প্র্যাকটিক্যাল নেভিগেশন, চার্ট ওয়ার্ক, মাগনেটিক অ্যান্ড জিওকম্পাস। এছাড়াও নেভল আর্কিটেকচার, কার্গো ওয়ার্ক প্রভৃতি বিষয়ও শিখতে হয়। ভারতের যে সমস্ত কলেজে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ানো হয় তাদের ঠিকানা-
সৌজন্যেঃ ডঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায়
Be the first to comment