সুন্দরবনকে নতুন জেলা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই অঞ্চলকে নিয়ে তৈরি হচ্ছে একটি মাস্টারপ্ল্যান। তা পাঠানো হবে কেন্দ্রের কাছে। আজ, মঙ্গলবার হিঙ্গলগঞ্জের সভা থেকে এমনটাই ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। সুন্দরবনের মানুষ আর্থ-সামাজিক ভাবে অনেকটাই পিছিয়ে। তাই নদীমাতৃক এই এলাকায় মানুষের উপার্জন বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই মাস্টারপ্ল্যানের পরিকল্পনা। সুন্দরবনকে কেন্দ্র করে পর্যটনের ব্যবস্থার উন্নতি করলে
স্থানীয় মানুষ উপকৃত হবেন। এই এলাকা প্রায় প্রতিবছর প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্মুখিন হয়। মানুষের প্রচুর ক্ষতি হয়। সেদিকেও বিশেষ নজর দেওয়া হবে। হিঙ্গলগঞ্জের সভায় এই মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে বলেন, “সুন্দরবন নিয়ে নতুন জেলা করা হচ্ছে। কেন্দ্রের কাছেও সুন্দরবনের উন্নয়ন নিয়ে একটি মাস্টারপ্ল্যান পাঠাচ্ছি। কীভাবে নদী ভাঙন রোখা যায়, কীভাবে এই অঞ্চলগুলোকে ভালো রাখা যায় তার তার একটি পরিকল্পনা করা হচ্ছে।”
অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গে সার্বিক নদী ভাঙন নিয়ে একটি সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল কেন্দ্রের কাছে পাঠাবে রাজ্য সরকার। যা নিয়ে একটি প্রস্তাব পাসও হয়েছে রাজ্য বিধানসভায়। রাজ্যের প্রতিনিধি দলে থাকবেন শাসক দলের ৭ বিধায়ক ও ৫ বিরোধী বিধায়ক। সুন্দরবন, মুর্শিদাবাদ, মালদহের বিরাট অংশ ভাঙনে জর্জরিত। বহু মানুষ ভিটেমাটি হারিয়ে এলাকা ছাড়তে বাধ্য হচ্ছেন। সেকথা মাথায় রেখেই কেন্দ্রের কাছে দরবার করতে চলেছে রাজ্য সরকার।
আজ, মঙ্গলবার এই বিষয়টি নিয়ে বিধানসভায় একটি প্রস্তাবও আনেন পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ওই প্রস্তাবকে সমর্থন করেন বিরোধীরাও। ঠিক হয় মোট ১২ জনের একটি প্রতিনিধি দল যাবে কেন্দ্রের কাছে। সেই দলে থাকবেন শাসকদলের ৭ বিধায়ক ও বিরোধী ৫ বিধায়ক। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান-সহ নদী ভাঙন নিয়ে যেসব প্রস্তাব রয়েছে তা যাতে দ্রুত কার্যকর করা যায় তা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে দরবার করবে এই সর্বদলীয় প্রতিনিধি দল।
Be the first to comment