টেস্টে ১১ বারের জন্য এক ইনিংসে ৫ উইকেট নিলেন ইশান্ত শর্মা। ছুঁয়ে ফেললেন জাহির খানের রেকর্ড। ইশান্তের পাশাপাশি তৃতীয়দিন সকালে ২ টি উইকেট ঝুলিতে পুড়ে নেন রবি অশ্বিনও। চলতি সফরে প্রথম উইকেট তুলে নিয়ে দিনের শুরুটা করেছিলেন যদিও বুমরাহ।
কিন্তু অষ্টম উইকেটে অভিজ্ঞ অল-রাউন্ডার কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও অভিষেককারী কাইল জেমিসনের ৭১ রানের জুটিতে প্রথম ইনিংসে ভারতের চেয়ে অনেকটাই ব্যবধান বাড়িয়ে নিল কিউয়িরা। ৩৪৮ রানে শেষ হল নিউজিল্যান্ডের প্রথম ইনিংস।
৪৪ রান করলেন জেমিসন। ৪৩ রান এল গ্র্যান্ডহোমের ব্যাট থেকে। শেষবেলায় গুরুত্বপূর্ণ ৩৮ রানের অবদান রেখে গেলেন ট্রেন্ট বোল্ট। ১৮৩ রানে পিছিয়ে থেকে তৃতীয়দিনের শেষে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের রান ৪ উইকেটে ১৪৪। অর্ধশতরান এল ওপেনার ময়াঙ্ক আগরওয়ালের ব্যাট থেকে। কিন্তু উদ্বেগ বাড়িয়ে ফের বড় রান করতে ব্যর্থ কোহলি। বোল্টের শর্টপিচ বল পুল করতে গিয়ে ১৯ রানে কট বিহাইন্ড হয়ে ফিরলেন ভারত অধিনায়ক। চলতি সফরে কোহলির ব্যাটে রানের খরা ছ’বছর আগে ইংল্যান্ডের দুঃসহ স্মৃতি উসকে দিচ্ছে অনুরাগীদের।
১৪ রান করে শর্ট বলের গেরোয় শর্ট স্কোয়্যার লেগে ল্যাথামের তালুবন্দি হলেন পৃথ্বী। চা-বিরতির আগে অন্তিম বলে বোল্টের গুড লেংথ ডেলিভারি জাজমেন্ট দিতে গিয়ে বিপদ ডেকে আনেন ‘ডিপেন্ডবল’ পূজারা। ৮১ বল খেলে ক্রিজে থিতু হয়েও ১১ রানে ক্লিন বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফিরতে হয় সৌরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যানকে।
৭৮ রানে ২ উইকেট হারিয়ে চা-বিরতিতে যায় ভারতীয় দল। বিরতির পর ময়াঙ্ককে ৫৮ রানে ফেরান সাউদি। যদিও ডাউন দ্য লেগ ভারতীয় ওপেনারের কট বিহাইন্ডের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক থেকেই যাচ্ছে। এরপর বোল্টের তৃতীয় শিকার হন কোহলি। ভারতীয় শিবিরে তখন ইনিংস হারের চাপা আতঙ্ক গ্রাস করেছে।
কিন্তু কোহলি আউট হওয়ার পর দিনের বাকি প্রায় ২০ ওভার শক্ত হাতে সামাল দেন ডেপুটি আজিঙ্কা রাহানে ও ট্যুর ম্যাচে শতরানকারী হনুমা বিহারী। দিনের শেষে পঞ্চম উইকেটে দুই ব্যাটসম্যানের সাবলীল ব্যাটিংয়ে ইনিংস হার এড়ানোর লড়াই লড়ছে ভারতীয় দল। দিনের শেষে ভারতের রান ৪ উইকেট খুঁইয়ে ১৪৪। চতুর্থদিন প্রথম ঘন্টা ভীষণই গুরুত্বপূর্ণ ভারতের মিডল অর্ডারের জন্য। ইনিংস হার এড়াতে এখনও ৩৯ রান চাই ভারতীয় দলের। চতুর্থদিন সকালে বোল্ট-সাউদিদের কতটা ইতিবাচক ভঙ্গিতে সামলাতে পারেন রাহানেরা, এখন সেটাই দেখার।
Be the first to comment