মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারির পরেই নড়েচড়ে বসেছে শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটান পুলিশ। চলছে জমি মাফিয়াদের বিরুদ্ধে ধড়পাকড় অভিযান। সেই অভিযানে আজ মাটিগাড়া থানার পুলিশের হাতে ধড়া পড়ল তৃণমূল যুব কংগ্রেসের স্থানীয় নেতা শম্ভু বর্মণ ওরফে রাহুল। আজ তাকে শিলিগুড়ি মহকুমা আদালতে তোলা হয়।
মেথিবাড়ি এলাকায় ০.৬৫ একর জমি ছিল কাজল বলের। সেই জমির বর্তমান বাজার মূল্য প্রায় ৯০ লাখেরও বেশি। অভিযোগ, সেই জমির দলিল, পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি সহ অন্য সমস্ত নথি জাল করে ওই জমি হাতিয়ে নেয় রাহুল। পরবর্তীতে প্লট করে করে সেই জমি বিক্রি করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
এদিকে, জমি মাফিয়া চক্রের বিরুদ্ধে অভিযানে নেমে গত বৃহস্পতিবার পুলিশের হাতে ধড়া পড়ে সনু থাপা। সে পাথরঘাটা এলাকার বাসিন্দা। তার বিরুদ্ধে সরকারি জমি জবর দখলের অভিযোগ ছিল। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ শম্ভুর নাম জানতে পারে। এরপরেই পুরোনো ফাইল ঘেঁটে ফের একবার শম্ভুর নাম উঠে আসায় তাকে পাথরঘাটা এলাকায় নিজস্ব বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
জানা গেছে, শম্ভু বর্মণ তৃণমূল যুব কংগ্রেসের পাথরঘাটা ও চম্পাশরী ব্লকের যুব সভাপতির দ্বায়িত্বে রয়েছেন। যদিও এবিষয়ে যুব জেলা সভাপতি বা মাদারের জেলা সভাপতির সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
তৃণমূল কংগ্রেস দার্জিলিং জেলা কমিটি সূত্রে খবর, ধৃত শম্ভুকে লিখিতভাবে কোনওরকম দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তবে মৌখিকভাবে ওই ব্লকের সভাপতি হিসেবে তাকে নিযুক্ত করা হয়েছে বলেই দাবি তাদের। যদিও ধৃত শম্ভু বর্মণের দাবি সে দলের কোনও পদে নেই। সে একজন সাধারণ কর্মী মাত্র। তার আরও বক্তব্য, ওই জমি সে নিজের জন্যই কিনেছিল।
শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটান পুলিশের পুলিশ কমিশনার ভরত লাল মীনা বলেন, কে কোন দল করে সেটা দেখার নয়। অভিযোগ থাকলে গ্রেপ্তার হবেই। কাউকেই ছাড়া হবে না। ধড়পাকড় চলবেই। পুলিশ কমিশনার জানান, এখনও পর্যন্ত মোট ৭০ জন জমি মাফিয়া পুলিশের হাতে ধড়া পড়েছে। এদের মধ্যে ৪০ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। বাকি ৩০ জন আত্মসমর্পণ করেছে।
Be the first to comment