ভাল চাকরি করেন। বছরে রোজগারও নেহাত কম নয়। কিন্তু বিয়ে তো একটা করতে হবে! তাই বছর একত্রিশের মুম্বইয়ের তথ্য প্রযুক্তি কর্মী অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন একটি ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটে। ভেবেছিলেন সেখান থেকেই খুঁজে পাবেন জীবনসঙ্গী। কিন্তু তা তো হলোই না, বরং জমানো টাকা খোয়া গেল তাঁর।
পোয়াই থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই যুবক। তাঁর অভিযোগ, তিনি ওই সাইটে অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন। তারপর রিকোয়েস্ট পাঠিয়েছিলেন ওই মহিলাকে। শুরু হয়েছিল চ্যাট। কিন্তু ওই যুবক জানিয়েছিলেন, বারবার দেখা করার কথা বললেও কোনও না কোনও ছুতোয় এড়িয়ে যেতেন ওই মহিলা। এরপর যুবক প্রস্তাব দেন, মহিলার জন্মদিনে দেখা করার। রাজি হয়েও নির্দিষ্ট দিন সকালে মহিলা জানান, তার বাবা গুরুতর অসুস্থ। ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালেও। সেই সঙ্গে মহিলা আবেদন করেন কিছু টাকার জন্য। বলেন, তাঁর ভাই লন্ডন থেকে কয়েক দিনের মধ্যে ফিরবে। তারপরই ফেরত দিয়ে দেবেন সব টাকা।
যুবক পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি অনলাইনে টাকা দেওয়ার প্রস্তাব দিলে মহিলা বলেন নগদে টাকা দিতে। একজন ব্যাক্তিকে ড্রাইভার পরিচয় দিয়ে পাঠান ওই মহিলা। ওই ব্যক্তির হাতেই টাকা দেওয়ার কথা বলেন। মোট ২৩ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা দিয়েও দেন ওই যুবক। তারপর থেকেই মোবাইল ফোনে আর ওই মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করতে না পেরে যুবক বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। অভিযোগ করেন থানায়।
ম্যাট্রিমনিয়াল সাইটের ডিটেল দেখে পোয়াই পুলিশ চিহ্নিত করে মহিলাকে। জানা গেছে, ওই মহিলা ফেক ছবি দিয়ে অ্যাকাউন্ট চালাতেন। পুলিশের কাছে সে কথা স্বীকার করেছেন ওই মহিলা। এ-ও আবেদন করেছেন, যাতে তাকে পুলিশ টানাহেঁচড়া না করে। তিনি দ্রুত সব টাকা ফিরিয়ে দেবেন। যদিও, ওই যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে মহিলার বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা রুজু করেছে পোয়াই থানা।
Be the first to comment