ইশারা নয়, কংগ্রেসকে সরাসরি বার্তাই দিলেন ‘বহেনজি’। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের আগে বহুজন সমাজ পার্টি (বসপা)-র সর্বময় নেত্রী যে কংগ্রেসের সঙ্গে কোনও ভাবেই সম্পর্ক খারাপ করতে চান না তা এদিন স্পষ্ট হয়ে গেল। তাঁর দলের কেউ রাহুল গান্ধীর সমালোচনা করবেন তা মেনে নিতে পারছেন না মায়াবতী। আর সে জন্যই কংগ্রেস সভাপতির বিরুদ্ধে কুকথা বলায় দলের জাতীয় কো-অর্ডিনেটর জয়প্রকাশ সিংকে বারখাস্ত করলেন বসপা নেত্রী। শুধু তাই নয়, আসন সমঝোতা হওয়ার আগে দলের কাউকে প্রকাশ্যে মুখ খুলতেও নিষেধ করে দিয়েছেন মায়াবতী।
লোকসভা নির্বাচনের জন্য এখনও প্রকাশ্যে আসন সমঝোতার কথা ঘোষণা করেনি কোনও দল। তার আগেই দলের হাইকম্যান্ডকে এড়িয়ে প্রকাশ্যে নানা মন্তব্য করে ফেলছেন দলের একাধিক নেতা। এবার তাঁদের উদ্দেশে মায়ার সাফ বার্তা, “আসন সমঝোতা বা জোটের কথা দলের পক্ষ খেকে ঘোষণার আগে প্রকাশ্যে কিছু বলা যাবে না। গোটা বিষয়টি দলের হাইকমান্ডের উপরেই ছেড়ে দিন।”
কেন জয়প্রকাশের উপরে এতটা ক্ষেপে গেলেন মায়াবতী? সম্প্রতি এক সভায় জয়প্রকাশ বলেন, ‘রাহুল গান্ধী যদি তাঁর বাবার পথে চলতেন তাহলে তার একটা আশা ছিল। কিন্তু তিনি মায়ের পরামর্শ মতো চলেন। হলফ করে বলতে পারি, রাহুল কখনও দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। এর আরও একটা কারণ, তাঁর মা একজন ভিনদেশি।’
আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিরোধী ঐক্যে একটা ভূমিকা থেকেই যাচ্ছে বসপার। পাশাপাশি নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার বিষয়টিও রয়েছে। সেজন্য বসপা ইতিমধ্যে সপার সঙ্গে একচোট বোঝাপড়া করে ফেলেছে। ফুলপুর ও গোরক্ষপুর উপনির্বাচনে বুয়া-বাবুয়ার এই জোট সাফল্যও পেয়েছে। এবার সামনে লোকসভা নির্বাচন। সেখানে আসন সমঝোতার প্রশ্নে কংগ্রেসের সঙ্গেও আলোচনায় বসতে হবে। তবে সমঝোতার প্রয়োজনীয়তা কংগ্রেসেরও দিক থেকেও বিপুল। কারণ উত্তরপ্রদেশে তাদেরও দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে। তাই দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে বরখাস্ত করে দলেকে আগাম সতর্ক করে আদতে কংগ্রেসকেই বন্ধুত্বের বার্তা দিলেন মায়া, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
Be the first to comment