তৃণমূলের মতো জোট গড়তে ব্যর্থ হয়েছে সপা, উত্তরপ্রদেশের হার নিয়ে ব্যাখ্যা মায়াবতীর

Spread the love

দলিত-মুসলিম ভোট একজোট হলে উত্তরপ্রদেশে বিজেপি দাঁড়াতে পারত না। পশ্চিমবঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেস যেটা করে দেখিয়েছে, তা উত্তরপ্রদেশে হল না। এমনই দাবি বসপা নেত্রী মায়াবতীর। বৃহস্পতিবার ভোটের ফল প্রকাশ হতেই দেখা যায়, বিজেপি নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে উত্তরপ্রদেশে। সপার আসন বাড়লেও বসপা বা কংগ্রেস তলানিতে।

এই অবস্থায় গত কয়েকমাসে রাজ্যে বহুজন সমাজ পার্টির সুপ্রিমো মায়াবতীর ভূমিকা নিয়ে অনেকেই ভ্রূ কুঁচকেছিলেন। ভোটের ফলে দেখা গিয়েছে, বসপা ভোটের বড় অংশই গিয়েছে বিজেপির ঝুলিতে। নিজের ভোট সরাসরি বা পরোক্ষভাবে শাসকদলের ঝুলিতে ফেলে মায়াবতী তাদের ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করেছেন বলে অভিযোগ অনেকের। এই অবস্থায় আত্মপক্ষ সমর্থনে মুখ খুললেন মায়াবতী। তাঁর ব্যাখ্যা, সমাজবাদী পার্টি ফিরলে রাজ্যে ফের জঙ্গলরাজ ফিরবে বলে আশঙ্কা থেকেই দলিতরা ঢেলে ভোট দিয়েছে বিজেপিকে। যদিও তাঁর যুক্তিতে ভুলতে নারাজ অনেকেই।

শিবসেনার দাবি, সংখ্যালঘু এবং দলিত ভোট কেটে যোগীকে ক্ষমতায় আসতে সাহায্য করেছে মায়াবতীর বিএসপি ও আসাদউদ্দিন ওয়াইসির ‘অল ইন্ডিয়া মজলিশ-ই-ইত্তেহাদুল মুসলিমিন’। তাই দুই নেতাকে ‘ভারতরত্ন’ ও ‘পদ্মবিভূষণ’-এর মতো খেতাব দিয়ে বিজেপি সম্মানিত করতে পারে বলেও কটাক্ষ করেছেন দলের মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত।

এবারের ভোটে বিএসপির ভোটব্যাংকে ধস নেমেছে। একটি মাত্র আসন জিতেছে তারা। এই বিপর্যয়ের কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মায়াবতী বলেন, “উচ্চবর্ণের হিন্দু এবং বহু অনগ্রসর শ্রেণির মানুষই মূলত বিএসপির সমর্থক। কিন্তু তাঁদের ভয় ছিল, সপা ক্ষমতায় ফিরলে রাজ্যে ফের জঙ্গলরাজ-গুন্ডারাজ ফিরে আসবে। তাই ওরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছে।” মায়াবতীর আরও বক্তব্য, “বিজেপিকে হারাতে মুসলিমরা সপা-কে বেছে নিয়েছিলেন। তাতে আমাদের ক্ষতি করেছে। বাংলায় তৃণমূল দলিত ও মুসলিম ভোটকে এক ছাতার তলায় আনতে পেরেছিল।”

কিন্তু বসপা নেত্রীর এই ব্যাখ্যা মানতে নারাজ অনেকেই। শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত শুক্রবার বলেন, “বিরাট জয় পেয়েছে বিজেপি। যদিও উত্তরপ্রদেশে তারাই ক্ষমতায় ছিল। কিন্তু অখিলেশ যাদবের আসনও তিন গুণ বেড়েছে। ৪২ থেকে বেড়ে ১২৫ হয়েছে। বিজেপির জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন মায়াবতী এবং ওয়াইসি। তাই তাঁদের অবশ্যই পদ্মবিভূষণ, ভারতরত্ন দেওয়া উচিত।” চার রাজ্যে বিজেপি জিতলেও তাঁদের খোঁচা দিতে ছাড়েননি সঞ্জয়। তাঁর প্রশ্ন, “অন্যের খুশিতে আমাদের দুঃখ পাওয়ার কিছু নেই।

তবে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হারলেন কেন? গোয়া, উত্তরপ্রদেশে দুই উপমুখ্যমন্ত্রী হেরে গেলেন কেন? পাঞ্জাবের মতো রাজ্যে বিজেপির মতো জাতীয়তাবাদী দলকে মানুষ সম্পূর্ণ প্রত্যাখ্যান করেছে। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী – সকলে সেখানে পড়ে থেকে, তুমুল প্রচার করেও কিছু করতে পারেননি। ওখানে হারলেন কেন? পাঞ্জাবে আপনাদের ফল সে রাজ্যে কংগ্রেস ও উত্তরপ্রদেশে শিবসেনার চেয়েও খারাপ। তাহলে আপনাদের সাফল্য কোথায়?”

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*