সিপিএমের নতুন রাজ্য সম্পাদক হলেন মহম্মদ সেলিম। এবার বঙ্গ সিপিএমের ব্যাটন সেলিমের হাতে। সিপিএমের নয়া রাজ্য কমিটিতে একের পর এক চমক। এক ঝাঁক নতুন মুখকে যেমন তুলে আনা হয়েছে এই কমিটিতে। একইভাবে স্থান পেয়েছেন সুশান্ত ঘোষের মতো দীর্ঘদিনের নেতাও। তরুণ মুখের মধ্যে রয়েছেন মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়, শতরূপ ঘোষ, ময়ূখ বিশ্বাসরা। রয়েছেন আত্রেয়ী গুহ, পার্থ মুখোপাধ্যায়, সুদীপ সেনগুপ্ত, তরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
উল্লেখযোগ্যভাবে এবার সিপিএমের রাজ্য কমিটিতে নেই সূর্যকান্ত মিশ্র, বিমান বসু, নেপাল দেব। যদিও এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে সিপিএমের তরফে রাজ্য কমিটি ঘোষণা করা হয়নি। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা সিপিএমের।
এবার বাংলায় সিপিএমকে নেতৃত্ব দেবেন মহম্মদ সেলিম। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মুখ মহম্মদ সেলিম বাংলার পাশাপাশি হিন্দি-ইংরাজিতে সরগর। তিন ভাষাতেই ভাল বক্তৃতা করতে পারেন। যথেষ্ট পরিচিত মুখ এবং সংবাদমাধ্যমের সঙ্গেও তাঁর সম্পর্ক তুলনামূলক সহজ। এই সমস্ত বিষয়ই তাঁকে নেতৃত্বের দিক থেকে এগিয়ে রেখেছিল বলেই সিপিএমের অন্দরের খবর। সিপিএমের ক্ষেত্রে সাধারণভাবে কেরল, ত্রিপুরা বা পশ্চিমবঙ্গে যাঁরা রাজ্য সম্পাদক হন তাঁরা পলিটব্যুরোর সদস্য হন। মহম্মদ সেলিমও পলিটব্যুরোর সদস্য। ফলে বাকি যাঁদের নাম নিয়ে জল্পনা শোনা যাচ্ছিল, সকলকেই এ জায়গায় কিছুটা পিছনে ফেলে দিয়েছেন সেলিম।
তারুণ্যকে যে এবার রাজ্য কমিটিতে প্রাধান্য দেওয়া হবে অনেকদিন ধরেই এ কথা শোনা যাচ্ছিল। এবার বয়সের সীমা বেঁধে সিপিএম বিষয়টি তুলে ধরেছে। এই ‘সংরক্ষণেই’ বাদ পড়েছেন বাংলায় বামপন্থী রাজনীতির অন্যতম পরিচিত দুই মুখ বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র। বাদ পড়ছেন রবীন দেব। মৃদুল দে, নেপালদেব ভট্টাচার্য, সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের মতো শ্রমিক সংগঠনের সঙ্গে দীর্ঘদিন যুক্ত নেতারাও এবার থাকছেন না রাজ্য কমিটিতে।
নিঃসন্দেহে এবার রাজ্য কমিটিতে সুশান্ত ঘোষের উঠে আসা বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। বেনাচাপড়া কঙ্কালকাণ্ডের পর হাজতবাস, দীর্ঘদিন প্রত্যক্ষ রাজনীতি থেকে দূরে থাকা, এরপর ফের ফিরে এসে ভোটে দাঁড়ানো, পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলা সম্পাদক হওয়া সুশান্ত ঘোষ এবার সিপিএমের রাজ্য কমিটিতে।
Be the first to comment