আগুন লাগার পর কেটে গিয়েছে এক দিন। কিন্তু তারপরও পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি মেডিক্যাল কলেজের রোগী পরিষেবা। বহির্বিভাগ, জরুরি বিভাগ চালু থাকলেও মেডিসিন বিভাগে ভর্তি নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। হয়রানি ওষুধের জন্য। অস্থায়ী কাউন্টারে ওষুধের জন্য লম্বা লাইন।
বুধবারের অগ্নিকাণ্ডের পর মেডিক্যাল কলেজে রোগী ভর্তি আংশিক নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে। জেনারেল মেডিসিন বিভাগে শুধুমাত্র সংকটজনক রোগীদের ভর্তি করা হচ্ছে। বহির্বিভাগে রোগি দেখা হলেও সমস্যা দেখা দিয়েছে ওষুধ সরবরাহ নিয়ে। আগুন লাগার পর থেকেই বন্ধ সেন্ট্রাল মেডিক্যাল স্টোর। অন্য একটি ঘরে ওষুধ সরবরাহের কাউন্টার খোলা হয়েছে। কিন্তু সেখানে কয়েক হাজার রোগির ভিড়। ওষুধ পেতে লাগছে পাঁচ থেকে ছয় ঘণ্টা।
শুক্রবার পর্যন্ত হাসপাতালে নিত্য প্রয়োজনীয় ওষুধ মজুত রয়েছে। তারপর অন্য হাসপাতাল থেকে ওষুধ আনার জন্য স্বাস্থ্যভবনে জানানো হয়েছে। কিন্তু প্রয়োজনীয় সব ওষুধ মিলতে যে আরও কয়েকদিন লাগবে তা কার্যত মেনে নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
সব ওষুধও পাওয়া যাচ্ছে না। সমস্যা দেখা দিয়েছে বিভিন্ন প্যাথোলজিক্যাল টেস্টের রিপোর্ট পেতেও। আগুন লাগার পরই রোগিদের অন্যত্র সরাতে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন দেবাশিষ মুখোপাধ্যায়। জখমও হয়েছেন। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করেও এক্স-রে করাতে পারেননি। মেলেনি কোনও ওষুধও।
Be the first to comment