কাটল না জটিলতা, এবার আমরণ অনশনে সামিল হতে চলেছেন কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের পড়ুয়ারা। বৃহস্পতিবার থেকে এই আন্দোলন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তাঁরা। মঙ্গলবার গভীর রাতে ঘেরাও তুলে নেন আন্দোলনরত পড়ুয়ারা। যদিও ঘেরাও তোলা হলেও তাঁরা কিন্তু আন্দোলনের পথ থেকে সরে যাচ্ছেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন। পড়ুয়ারা বলছেন, বুধবার ৭ ডিসেম্বর দুপুর দুটো পর্যন্ত কর্তৃপক্ষকে সময় দেওয়া হয়েছিল । তাঁদের দাবি ছিল আগামী ২২ ডিসেম্বর কলেজের ছাত্র সংসদের নির্বাচনের বিধি বা স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিওর ঘোষণা করতে হবে। সেইমতো আজ বুধবার দুপুরে তাঁরা অধ্যক্ষের (Principal)ঘরে গেলে সেখানে কেউ ছিলেন না বলে অভিযোগ। এমনকি এমএসভিপি-এর সঙ্গেও দেখা করতে পারেন নি তাঁরা। এরপরই বিক্ষোভে ফেটে পড়েন পড়ুয়ারা এবং স্পষ্ট ভাবে জানিয়ে দেন যে আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার থেকেই আমরণ অনশনে বসতে চলেছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য গত সোমবার বিকেলে মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষ আপাতত নির্বাচন হচ্ছে না বলে জানিয়ে দেন। এরপরেই পূর্ব নির্ধারিত ২২ ডিসেম্বর নির্বাচন চেয়ে পড়ুয়ারা কলেজের অধ্যক্ষ, উপাধ্যক্ষ এবং বিভিন্ন বিভাগীয় প্রধানদের ঘেরাও করেন। সাময়িকভাবে হাসপাতালের পরিষেবা প্রদান কিছুটা বাধাপ্রাপ্ত হলেও তা সামলে নেওয়া হয়ে বলে জানান হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যান ডা: সুদীপ্ত রায়। মঙ্গলবার বিকেলে নার্সিং সুপার এবং ৩ জন শিক্ষিকাকে ছেড়ে দিলেও বাকিদের প্রশাসনিক ব্লকে আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছিল পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে।
কিন্তু মঙ্গলবার গভীর রাতে ওই ব্লকের গেট খুলে দেওয়া হয়। মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ-সহ বিভাগীয় প্রধানকে ছেড়ে দেন তাঁরা। বুধবার সকাল থেকেই বিভাগীয় প্রধানরা পুনরায় রোগী দেখা শুরু করেন। তবে তাঁরা আশঙ্কা প্রকাশ করে জানান, আন্দোলনকারীরা আমরণ অনশনে বসলে হাসপাতালের চিকিৎসা পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আগামিকাল পরিস্থিতি ঠিক কোন দিকে এগোয় এখন সেটাই দেখার।
Be the first to comment