নতুন হস্টেলে রাখতে হবে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ বর্ষের ডাক্তারি পড়ুয়াদেরও। এই দাবিতে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ছয় পড়ুয়ার অনশন শুক্রবার একাদশতম দিনে পড়ল। বৃহস্পতিবার থেকে আরও পনেরো পড়ুয়া অনশনে সামিল হয়েছেন। অনশনের জেরে ইতিমধ্যেই তিন ছাত্র গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে, কর্মবিরতি শুরু করেছেন হাউস স্টাফ ও ইন্টার্নদের একাংশ। গতকাল রাতে ক্যাম্পাসে পুলিশ আসলেও কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি ৷
নতুন হস্টেলে ঠাঁই মেলেনি মেডিক্যাল কলেজের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ বর্ষের পড়ুয়াদের। কেবলমাত্র প্রথম বর্ষের ডাক্তারি ছাত্রদেরই সেখানে সুযোগ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এতেই ক্ষুব্ধ হয়ে সিনিয়ররা আন্দোলনে সামিল। দাবি আদায়ে ১১দিন ধরে অনশন চালিয়ে যাচ্ছেন ছয় পড়ুয়া। গতকাল থেকে অনশনে সামিল হলেন আরও পনেরোজন। ডাক্তারি পড়ুয়াদের অভিযোগ,
যদিও, পড়ুয়াদের পাল্টা জবাব, মেডিক্যাল কলেজের ইতিহাসে র্যাগিং-এর ঘটনা ঘটেনি ৷ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রামানুজ সিনহা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তাকে বিষয়টি জানানো হচ্ছে। নির্দেশ পেলে সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে, বৃহস্পতিবারই সুজন চক্রবর্তীর নেতৃত্বে বাম পরিষদীয় দল মেডিক্যাল কলেজে যায়। শুক্রবার অর্থাৎ আজ তাঁরা বিষয়টি বিধানসভায় তুলবেন বলে জানিয়েছেন সুজন চক্রবর্তী।
মেডিক্যাল কলেজের পুরোন হস্টেল থাকার অযোগ্য -পাঁচ তলার নতুন ফ্লোরের ফলস সিলিং মাঝেমধ্যে ভেঙে পড়ে -ইঁদুর, আরশোলার আনাগোনাও রয়েছে -হস্টেল চত্বরের পরিবেশও অস্বাস্থ্যকর।
আন্দোলন করতে গিয়ে ইতিমধ্যেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিন পড়ুয়া। ডাক্তারি পড়ুয়াদের আন্দোলনকে সমর্থন জানাতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেছেন হাউস স্টাফ ও ইন্টার্নদের একাংশ। তাতে হাসপাতালের পরিষেবা কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের যুক্তি, মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়ার গাইডলাইন মেনে নতুন হস্টেলে প্রথম বর্ষের পড়ুয়াদের রাখা হয়েছে ৷ র্যাগিং আটকাতেই এই পদক্ষেপ করেছেন তাঁরা।
Be the first to comment