মানসিক অবসাদের কারনে নিজের যৌনাঙ্গ কেটে ফেললেন এক বন্দী; পড়ুন বিস্তারিত!

Spread the love
রাতের বেলা আচমকাই মর্মান্তিক আর্তনাদ।  আওয়াজ আসছে সেলের ভিতর থেকেই।  ছুটে গিয়ে চোখ কপালে কারারক্ষীর।  সেলের মাটিতে শুয়ে কাতরাচ্ছেন এক বন্দি।  রক্তে ভেসে যাচ্ছে চারপাশ।
কী করে এমন হল দেখতে গিয়ে তাজ্জব সকলে।  নিজেই নিজের যৌনাঙ্গ কেটে ফেলেছেন বন্দি।  সেটা করেছেন ধারালো কোনও অস্ত্র দিয়েই।  আত্মহত্যার চেষ্টাই বটে! বিচারাধীন বন্দিকে নিয়ে রাতভর রীতিমতো হুলুস্থূল কাণ্ড ঘটল মেদিনীপুর সংশোধনাগারে।
জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, বন্দির নাম মুকুন্দ দোলুই।  বাড়ি চন্দ্রকোণায়। বধূ নির্যাতন ও খুনের মামলা চলছিল তাঁর বিরুদ্ধে।  মাঝরাতেই তাঁকে ভর্তি করা হয় মেদিনীপুর মেডিক্যালে। ঘণ্টাখানেক ধরে চলে অস্ত্রোপচার। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নিয়ে আসা হয় কলকাতায়।  তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক।
জেলের ভিতর ধারালো অস্ত্র দিয়ে একে ওপরকে আঘাত করা, বা বন্দিদের আত্মহত্যার ঘটনা প্রায়ই ঘটে থাকে।  প্রশ্ন উঠেছে, সেলের ভিতর বন্দির হাতে ধারালো অস্ত্র এল কী ভাবে? প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে রান্নাঘরের কাঁটা চামচ বা ওই জাতীয় কিছু দিয়েই নিজের যৌনাঙ্গ কেটেছেন মুকুন্দ।  জেলের অন্যান্য বন্দিদের কথায়, দীর্ঘদিন ধরেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি।  আগেও তাঁকে নানা রকম অস্বাভাবিক আচরণ করতে দেখা গেছে।
এই ঘটনার পর সংশোধনাগারে বন্দিদের নিরাপত্তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।  মাদক বা টাকার লেনদেন জেলের ভিতর হামেশাই হয়।  নজর রেখেও তাতে লাগাম পড়াতে পারছেন না কারা কর্তৃপক্ষ।  পাশাপাশি, ধারালো অস্ত্রের আমদানিও হয়ে থাকে।  যদি রান্নাঘরের কোনও ধারালো জিনিসই হয় তবে সেটাও ওই বন্দির হাতে এল কী ভাবে? এই প্রসঙ্গে এখনও কারা কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে কোনও সদুত্তোর মেলেনি।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*