ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের অ্যান্টিগুয়ার নাগরিকত্ব নিয়েছেন মেহুল চোকসি

Spread the love

পিএনবি কেলেঙ্কারির অন্যতম চক্রী মেহুল চোকসি ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জের অ্যান্টিগুয়ার নাগরিকত্ব নিয়েছেন। ঘটনাচক্রে কোনও নাগরিককে নিজের দেশে ফেরত পাঠানো অ্যান্টিগুয়ায় সরকারি আইনের আওতায় পড়ে না । ২০১৭ সালে নভেম্বর মাসেই বিশেষ নাগরিকত্ব কর্মসূচীর মাধ্যামে চোকসিকে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয় ।

অ্যান্টিগুয়ার এই নাগরিকত্ব আইন নিয়ে অনেকদিন ধরেই বিতর্ক চলছে। মূলত পর্যটক আকর্ষণের জন্যই এই আইন প্রবর্তন করেছে অ্যান্টিগুয়া সরকার । এই স্কিমের সাহায্য খুব সহজেই বিশ্বের ধনী ব্যক্তিরা অ্যান্টিগুয়ার নাগরিকত্ব পেতে পারেন ও সেখানে বসবাস করতে পারেন । ক্যানাডা ও মার্কিন-যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইতিমধ্যেই অ্যান্টিগুয়ার পাসপোর্ট অপব্যবহারের প্রভূত অভিযোগ উঠেছে।

প্রসঙ্গত পিএনবি কেলেঙ্কারি সামনে আসার অনেক আগেই অ্যান্টিগুয়ায় নাগরিকত্বের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন চোকসি । যদিও নিজের উকিলের মাধ্যমে চোকসি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন তিনি সবরকম আইন মেনেই এই নাগরিকত্ব নিয়েছন ও যেহেতু অ্যান্টিগুয়ার পাসপোর্টের সাহায্যে ভিসা ছাড়াই প্রায় ১৩০টি দেশে যাতায়াত করার সুযোগ আছে তাতে তাঁর ব্যবসার সুবিধা হবে এবং সেইজন্যই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি ।

চোকসিকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিয়ে অ্যান্টিগুয়ার সরকারের কাছে ইতিমধ্যেই আবেদন জানিয়েছে সিবিআই। অ্যান্টিগুয়ার বিদেশমন্ত্রী জানিয়েছেন নিজেদের আইন লঙ্ঘন না করে সবরকম আইনী সহায়তা দিতে প্রস্তুত তাঁদের সরকার । কিন্তু অ্যান্টিগুয়ান আইনে বহিঃসমর্পণের নীতি নেই, সেক্ষেত্রে কীভাবে চোকসিকে দেশে ফেরত পাঠাবে তারা, এই নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ।

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*