হাইকোর্টে ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রোর কাজের রিপোর্ট জমা করলো কলকাতা মেট্রো রেলের বিশেষজ্ঞ কমিটি ৷ নির্মলচন্দ্র স্ট্রিটের কাছে থাকা দ্বিতীয় টানেল বোরিং মেশিন পাঁচ মিটার সরালে জীবন ও সম্পত্তির কোনও ক্ষতি হবে না বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে। হাইকোর্টে এই রিপোর্ট জমা দেন মেট্রো রেলের তরফে আইনজীবী জিষ্ণু সাহা। পাশাপাশি রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, টানেল বোরিং মেশিন সরানোর সম্পূর্ণ কাজটি করা হবে বিশেষজ্ঞ কমিটির তদারকিতে। মেশিন সরানোর কাজে তত্ত্বাবধান করবেন চেয়ারম্যান লিউনার্ড জন এন্ডিকট।
যদিও মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী সপ্তাংশু বসু ও রিজু ঘোষাল বলেন, তাঁরা রিপোর্ট না পড়ে এখনই কিছু বলতে পারবেন না। প্রধান বিচারপতি টি বি রাধাকৃষ্ণণ ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, আগে তারা এই রিপোর্ট পড়ে দেখবে ৷ আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি।
উল্লেখ্য, চলতি মাসের চার তারিখ মামলাটির শুনানিতে দু’পক্ষই রিপোর্ট পেশ করে হাইকোর্টে। ওইদিন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষের তরফে আইনজীবী জিষ্ণু সাহা বলেন, ওই এলাকায় এখনও অন্তিম মূল্যায়নের কাজ চলছে। বিশেষজ্ঞরা এখনও জায়গাটির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখছেন। দুর্ঘটনার পর ওই এলাকার বাসিন্দাদের জন্য যা যা করা দরকার করেছি। ওই জায়াগায় পাশাপাশি দুটি টানেল বোরিং মেশিন কাজ করছিল। দুর্ঘটনা ঘটেছিল প্রথমটিতে। দ্বিতীয়টি প্রথমটির থেকে অনেক পিছনে রয়েছে। কিন্তু ওই মেশিনটির কিছু মেরামতের প্রয়োজন। সেই জন্য প্রায় পাঁচ মিটার জায়গা খুঁড়তে হবে।
এরপরই মামলাকারীদের তরফে আইনজীবী সপ্তাংশু বসু আপত্তি জানিয়ে বলেন, ওখানে যে কোনও ধরনের কাজ করার জন্য আগে বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ নিতে হবে। তারপর কোর্টকে সেটা জানাতে হবে। কোর্ট যদি সম্মতি দেয় তাহলে সেই কাজ করতে পারে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। এরপরই প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, বিষয়টি যেহেতু প্রযুক্তি ও বিজ্ঞান নির্ভর তাই বিশেষজ্ঞ কমিটির পরামর্শ ও রিপোর্ট ছাড়া কোর্টও কিছুই বলতে পারে না। শুক্রবার কলকাতা মেট্রো রেলকে রিপোর্ট পেশ করতে বলা হয় এই ব্যাপারে। সেইমতো মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ বিশেষজ্ঞ কমিটির রিপোর্ট পেশ করেছে ৷ রিপোর্টে জানানো হয়েছে, আপাতত ওই মেশিন সরালে ওই অঞ্চলের মানুষের জীবন ও সম্পত্তির ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ইস্ট ওয়েস্ট মেট্রো রেলের কাজ আপাতত বন্ধই রয়েছে।
Be the first to comment