মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছিল শহরবাসী। এরপর টালা ব্রিজের অবস্থা পুজোর সময় আরও চিন্তায় ফেলে দেয় তাদের ৷ এই পরিস্থিতিতে প্যান্ডেল হপিংয়ের জন্য দর্শনার্থীদের প্রথম পছন্দ হয়ে উঠেছিল কলকাতা মেট্রো। এবছর দুর্গাপুজোর ভিড় সামলাতে গিয়ে নতুন রেকর্ড গড়লো মেট্রো। পঞ্চমীর দিন যাত্রীসংখ্যা ছিল প্রায় ৯.২২। এই সংখ্যাটি এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। গতবছর পুজোয় পঞ্চমীর দিন যাত্রীসংখ্যা ছিল ৯.০৭ লাখ।
গতবারের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেল মেট্রো। পুজোর দিনগুলি নির্বিঘ্নে উত্তর থেকে দক্ষিণে ঠাকুর দেখার কথা মাথায় রেখে বাড়তি ট্রেনও চালায় মেট্রো কর্তৃপক্ষ। প্রতিবারের মতো শুধু পুজোর দিনগুলিই নয় পুজোর বেশ কয়েকদিন আগেই শনি ও রবিবার পুজোর কেনাকাটার জন্য বাড়তি ট্রেনও চালানো হয়। এছাড়াও পুজোর দিন সারারাত মেট্রো চালানো হয়। নোয়াপাড়া থেকে নিয়মিত ৫টি ট্রেন চালানো হয়।
এবিষয়ে, মেট্রোরেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রানী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ভিড়ের নিরিখে পুজোর দিনগুলিতে রেকর্ড করেছে মেট্রোরেল। মহালয়া থেকে শুরু করে দশমী পর্যন্ত লাখ লাখ মানুষ মেট্রো ব্যবহার করেছে। তৃতীয়া থেকে দশমী পর্যন্ত প্রায় ৬১.৬ লাখ যাত্রী মেট্রোয় যাতায়াত করেছে। পুজোর ক’দিনে যে পরিমাণ মেট্রো চলেছে তার মধ্যে ৮৫ শতাংশ ছিল AC ট্রেনের পরিষেবা। চতুর্থী থেকে নবমী পর্যন্ত প্রায় ৪৯.৫ লাখ যাত্রী মেট্রোরেল পরিষেবা ব্যবহার করেন। গতবছরের তুলনায় এবছর যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ৫.৭ শতাংশ।
এই সব ছাপিয়ে পঞ্চমীর দিন নতুন রেকর্ড করল মেট্রো। যাত্রীসংখ্যা ছিল ৯.২২ লাখ। মেট্রোরেল সূত্রে খবর পঞ্চমীতে সবথেকে বেশি ভিড় হয় এসপ্ল্যানেড, কালীঘাট ও দমদম স্টেশনে। রেকর্ডের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ষষ্ঠীর দিন। সেদিন ৯.১১ লাখ মানুষ মেট্রো পরিষেবা ব্যবহার করেছিলেন।
তবে মেট্রোরেলের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, শুধু যে ভিড়ের রেকর্ড হয়েছে তা নয়, কোনওরকম যান্ত্রিক গোলযোগ বা অপ্রীতিকর ঘটনাও ঘটেনি। সুষ্ঠুভাবে মেট্রো পরিষেবা দেওয়া হয়েছে। মানুষের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে প্রত্যেকটি স্টেশনে যথেষ্ট সংখ্যায় আরপিএফ এবং নিরাপত্তা কর্মীদের মোতায়েন করা হয়েছিলো।
মেট্রোরেল সূত্রে খবর, চতুর্থী থেকে নবমীর দিন পর্যন্ত প্রায় ৪.৮ কোটি টাকা উপার্জন করেছে মেট্রোরেল। পুজোর সময় গতবছরের তুলনায় মেট্রো রেলের মোট উপার্জন বেড়েছে প্রায় ১০.৩ শতাংশ।
Be the first to comment