দুই কেজি চাল ও দুই কেজি আলু দিয়ে শুরু হয়েছিল। ধীরে ধীরে তাতে যুক্ত হয়েছে ডাল ও স্যানিটাইজ়ার। প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের মিড ডে মিল বাবদ চাল,আলুর সঙ্গে এবার সাবান ও ছোলা দিতে চলেছে রাজ্য সরকার। অগাস্ট মাসের মিড ডে মিলের সামগ্রীর তালিকায় প্রথমে চাল, আলু, ডাল, সোয়াবিন ও সাবান রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্যের স্কুল শিক্ষা দপ্তর। সম্প্রতি সেই সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে চাল, আলু, সাবান ও ছোলা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কোরোনা আবহে বহুদিন ধরেই বন্ধ রাজ্যের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তবে, বন্ধ থাকাকালীন সময়েও পড়ুয়ারা যাতে পুষ্টি থেকে বঞ্চিত না হয় তার জন্য প্রতি মাসেই সমগ্র শিক্ষা মিশনের আওতায় থাকা প্রথম থেকে অষ্টম শ্রেণির প্রতি পড়ুয়ার বরাদ্দে থাকা মিড ডে মিলের সামগ্রী অভিভাবকদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। প্রথম কয়েক দফায় শুধু চাল আলু দেওয়া হলেও জুলাই মাসে চাল, আলুর সঙ্গে ডাল ও স্যানিটাইজ়ারও দেওয়া হয়েছিল।
শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় আগেই জানিয়েছিলেন, “মিড ডে মিলের সামগ্রীর সঙ্গে পড়ুয়াদের দেওয়া হবে স্যানিটাইজ়ার ও সাবান। সেই মতো জুলাই মাসে স্যানিটাইজ়ারের পর অগাস্ট মাসে পড়ুয়াদের সাবান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এবার সেই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হল ছোলা।
গত ১৫ জুলাই স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কুকড মিড-ডে মিল প্রোগ্রামের প্রজেক্ট ডাইরেক্টর-এর তরফ থেকে সব জেলার ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটদের পাঠানো মিড ডে মিলের সামগ্রীর তালিকা আনুযায়ী, প্রতি পড়ুয়া পিছু দুই কেজি চাল, দুই কেজি আলু, ২৫০ গ্রাম ডাল, ১০০ গ্রাম সোয়াবিন ও একটি করে সাবান দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। তারপরে গত ২১ জুলাই ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেটদের আর একটি তালিকা পাঠানো হয়েছে প্রজেক্ট ডাইরেক্টরের তরফে। সেখানে বলা হয়েছে, অগাস্ট মাসের জন্য প্রস্তাবিত মিড ডে মিলের সামগ্রী তালিকায় কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে।
জানানো হয়েছে, নতুন সামগ্রীর তালিকা ও তার নির্ধারিত মূল্য। সেই তালিকা অনুযায়ী, অগাস্ট মাসে প্রতি পড়ুয়া পিছু দুই কেজি চাল, ২৮ টাকা কেজি মূল্যে এক কেজি আলু ও ১০ টাকা মূল্যের একটি সাবান দেওয়া হবে। সঙ্গে এক কেজি করে দেওয়া হবে ছোলা।
প্রতি পড়ুয়া পিছু এক কেজি করে ছোলা দেওয়ার জন্য খাদ্য এবং সরবরাহ দপ্তরের সেক্রেটারিকে ২১ জুলাই চিঠি পাঠিয়ে কুকড মিড ডে মিলের প্রজেক্ট ডাইরেক্টরের তরফে বলা হয়েছে, পর্যাপ্ত পরিমাণে ছোলা ২৯ জুলাইয়ের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ন্যায্যমূল্যের রেশন দোকানে পৌঁছে দিতে। সেখান থেকে স্কুল শিক্ষা দপ্তর তা সংগ্রহ করে স্কুলে স্কুলে পৌঁছে দেবে। প্রতি জেলা অনুযায়ী কত ছাত্র-ছাত্রী ও তাদের জন্য কত পরিমাণ ছোলা প্রয়োজন তাও জানানো হয়েছে চিঠিতে।
সেই অনুযায়ী রাজ্যজুড়ে মোট এক কোটি নয় লাখ ৪২ হাজার ৪৬৮ জন ছাত্র-ছাত্রীর জন্য মোট ১০৯৪২.৪৭ মেগাটন ছোলা লাগবে বলে জানানো হয়েছে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের তরফে।
Be the first to comment