পিয়ালি আচার্য,
সোনারপুর দক্ষিনে সাধারন এক চপের দোকান। বৌদি তখন চপ ভাজছেন। হঠাৎই সেই দোকান হয়ে উঠলো অসাধারণ। কী এমন হলো? দোকানে তখন ভেঙে পড়ছে লোক। এখনও বিষয়টা আপনাদের কাছে হয়তো পরিষ্কার নয়, একটু খোলসা করে বলি। যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী মিমি চক্রবর্তী এসেছেন এখানে।
রুপোলী পর্দার গ্ল্যামারাস নায়িকা মিমি ঘরের মেয়ের মতোই বৌদির চপের দোকানের ছোট্ট দাওয়ায় বসে পড়লেন। খোঁজ নিলেন তাঁর, চপও কিনলেন। মিটিয়ে দিলেন পয়সা। ডায়েটিং-এর কথা আপাতত শিকেয় তোলা থাক। আমরা যারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচার গত ২০ বছর ধরে কভার করছি তারা জানি সারাদিনে দুটো তিনটে প্রচারে ব্যস্ত নেত্রী চপের দোকান দেখে মাঝে মাঝেই থেমে যান। ছোটোখাটো দোকানে ততোধিক ছোট টেবিলে বসে চপ মুড়ি খান, দলীয় নেতা-কর্মীদের তা খাওয়ানও।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মা বলেন মিমি। এ যেন যোগ্য মায়ের যোগ্য কন্যা। আগেও যেমন এখনও মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পরেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোথাও কিছু কিনলে সঙ্গেসঙ্গে টাকা মিটিয়ে দেন। মিমিও তাঁর দলনেত্রী তথা মাকে পদে পদে অনুসরণ করছেন তা আজকের এই ঘটনা দেখলেই বোঝা যায়। বেশকিছুদিন মিমির প্রচার কভার করে একথা বলাই যায় যে, এই মেয়ে অনেক দূর যাবে। তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির প্রার্থী অনুপম হাজরা সবাইকে মিহিদানা খাওয়াচ্ছেন। মিমি কিন্তু দলের আরেক নেতাকে অনুসরণ করে নকুলদানার উপরেই ভরসা রাখছেন।
নির্বাচনী লড়াইয়ে কী হবে তা জানা যাবে ২৩ মে। তবে সকাল বিকেল মানুষের মাঝখানে থেকে এই বিশ্বাস যোগ্যতা মিমি তৈরি করতে পেরেছেন যে সাংসদ হলেও এই মেয়ে এলাকার মানুষের উন্নয়নে কাজ করবেন, ভুলবেন না এলাকাকে।
দেখুন ভিডিও-
দেখুন ছবি!
Be the first to comment