১০ দিন পর জেল থেকে মুক্তি পেলেন ডিওয়াইএফআই নেত্রী মীনাক্ষি মুখোপাধ্যায় ও তাঁর সঙ্গীরা। জেল থেকে বেরিয়ে আত্মপ্রত্যয়ী মীনাক্ষির বার্তা, “বামপন্থীরা আন্দোলনে নামলেই তাঁদের জেলে যেতে হয়। এটাই ঐতিহ্য।” মঙ্গলবার লড়াকু বাম যুবনেত্রীর মুক্তির পর তাঁকে নিয়ে রাসবিহারীতে মিছিলের পরিকল্পনা করেছিলেন ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআইয়ের সদস্যরা। আর সেই মিছিলকে ঘিরে ধুন্ধুমার বেঁধে যায় দক্ষিণ কলকাতায়।
গত ২৬ ফেব্রুয়ারি আনিস খানের হত্যাকারীদের দ্রুত শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছিল DYFI এবং SFI। হাওড়ার পাঁচলায় এসপি অফিস অভিযান করে তাঁরা। সেই মিছিলকে কেন্দ্র করে ধুন্ধুমার বেঁধে যায় পাঁচলায়। তার পরই মীনাক্ষি-সহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আইনি লড়াইয়ের পর অবশেষে সোমবার তাঁদের জামিন মঞ্জুর করে হাওড়া কোর্ট। কিন্তু তার পর আর সময় ছিল না। তাই মঙ্গলবার দুপুরে আলিপুর সেন্ট্রাল জেল থেকে ছাড়া পেলেন মীনাক্ষি। তাঁকে নিয়ে রাসবিহারীতে মিছিলের পরিকল্পনা করেছিলেন ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআইয়ের সদস্যরা। আর সেই মিছিল গিরে ধুন্ধুমার বেঁধে যায় রাসবিহারীর মুখে।
পুলিশ চেষ্টা জমায়েতকারীদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পালটা বাধা দেয় আন্দোলনকারী বাম যুব নেতা-কর্মীরা। দুপক্ষের মধ্যে ধাক্কাধাক্কিও হয়। মহিলা কর্মীদের রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে গাড়িতে তোলা হয়। শেষে বাম নেতা-কর্মীদের আটক করে পুলিশ। এদিন মীনাক্ষি বলেন, “বামপন্থীদের জেলে যেতে হয়। এটা ঐতিহ্য। নতুন কোনও কথা নয়।”
এদিনও আনিসের হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তারির দাবিতে সরব হয়েছেন মীনাক্ষি। বলেন, “আমরা আনিসের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে পথে নেমেছিলাম। সেই হত্যাকারীরা এখনও শাস্তি পায়নি। যতক্ষণ না তারা শাস্তি পাচ্ছে আমাদের লড়াই-আন্দোলন চলবে। এই লড়াইয়ের শেষ দেখেই ছাড়ব।”
Be the first to comment