রাজভবনে মন্ত্রিসভার শপথের পরে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মন্ত্রীদের দপ্তর বণ্টনের কাজ শেষ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিবারের মত এবারেও মুখ্যমন্ত্রীর নিজের হাতে রইল স্বরাষ্ট্র, পুলিশ, পার্বত্য বিষয়ক, ভূমি ও ভূমি সংস্কার, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের মতো বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর। অন্যদিকে শিল্প ও শিক্ষায় বড়োসড়ো চমক দিলেন মমতা। বিরাট দায়িত্ব পেলেন ফিরহাদ হাকিম, ব্রাত্য বসুরা। দায়িত্ব বদল হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়দের। আর প্রতিমন্ত্রীদের তালিকায় উঠে এল একগুচ্ছ নতুন মুখ।
নতুন মন্ত্রী মনোজ তিওয়ারি দায়িত্ব পেলেন ক্রীড়া ও যুবকল্যাণ দপ্তরের, তিনি হলেন প্রতিমন্ত্রী। পরিবহণ প্রতিমন্ত্রী হলেন দিলীপ মণ্ডল, আখরুজ্জামান হয়েছেন বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী,পঞ্চায়েত ও গ্রামীন প্রতিমন্ত্রী হলেন শিউলি সাহা, ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী হলেন শ্রীকান্ত মাহাতো, বীরবাহা হাঁসদা হলেন বন প্রতিমন্ত্রী, জ্যোৎস্না মান্ডি পেলেন খাদ্য ও সরবরাহ প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব। অন্যদিকে পরেশ অধিকারী স্কুল শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী।
মুখ্য সচেতক হচ্ছেন নির্মল ঘোষ। উপ মুখ্য সচেতক তাপস রায়। সঙ্গে প্রতিমন্ত্রী হিসেবে থাকবেন পার্থ ভৌমিক। স্পিকার নির্বাচন আগেই হয়েছে, থাকছেন বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। মহিলা হিসেবে থাকবেন অসীমা পাত্র। ডেপুটি স্পিকার হবেন আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়। যদি আইনে কোনও সমস্যা না থাকে তাহলে অতিরিক্ত ডেপুটি স্পিকার করা হবে আবদুল করিম চৌধুরীকে।
প্রসঙ্গত, এদিন সকালে মন্ত্রীসভায় শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৪৩ জন ক্যাবিনেট মন্ত্রী। এর মধ্যে ২৪ জন পূর্ণমন্ত্রী, ১৯ জন প্রতিমন্ত্রী। এই ১৯ জনের মধ্যে ১০ জন আবার স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত। রাজভবনের থ্রোন হলে অত্যন্ত অনাড়ম্বর ভাবে তৃতীয়বারের জন্য গঠিত হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রীসভা। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের সান্নিধ্যে অনুষ্ঠিত হয় শপথগ্রহণ পর্ব।
Be the first to comment