রাজ্যের পর্যটন মানচিত্রে ক্রমে গুরুত্ব বাড়ছে মিরিকের। মিরিককে আরও আকর্ষণীয় করতে চালু হয়েছে ট্রেকিং টুরিজম। অজানা তিন গ্রাম হিলি ঝোরা, ছোটা টিংলিং ও পুটুংয়ে ট্রেক করে নেমে আসা যাবে বেস ক্যাম্পে। শুধুমাত্র ট্রেকার্সরা নয়, দেশ-বিদেশের পর্যটকরাও ট্রেকিং-এর সুযোগ পাবেন। বিকল্প উপার্জনের পথ পাচ্ছেন স্থানীয়রাও। দার্জিলিং বেড়াতে গিয়ে মিরিককে বেছে নেননি এরকম পর্যটকের সংখ্যা খুব কম। মিরিকে পর্যটনের প্রসারে এগিয়ে এসেছে পর্যটন দফতর। মিরিকে চালু হয়েছে ট্রেকিং টুরিজম। পাহাড়ি পথে শুধুমাত্র ট্রেকার্সরা নয়, দিনভর ট্রেকিংয়ের সুযোগ পাবেন দেশি-বিদেশি পর্যটকরাও। কখনও জঙ্গল, কখনও চা বাগান ঘেরা রাস্তা দিয়ে পৌঁছনো যাবে খাপরাইলে। এটাই বেসক্যাম্প।
শিলিগুড়ি থেকে দুধিয়া হয়ে খাপরাইলে পৌঁছনো যাবে – বাগডোগরা থেকে খাপরাইলে সরাসরিও যাওয়া যাবে – অজানা তিন গ্রাম হিলি ঝোরা, ছোটা টিংলিং ও পুটুংয়ে ট্রেক করা যাবে – এরপর বেস ক্যাম্পে ফিরে আসতে হবে – পর্যটকদের দিতে হবে গাইড ফি – স্থানীয়দের প্রশিক্ষণ পর্যটন দফতরের – তাঁরাই পর্যটকদের ট্রেকিংয়ে সাহায্য করবেন গ্রামের বেকার তরুণ-তরুণীদের নিয়ে পুটুং খাপরাইল নেচার কনজারভেশন কো-অর্ডিনেশন কমিটি তৈরি করেছে মিরিক প্রশাসন। পর্যটকদের খাওয়ার জন্য রুটি, ভাত, ডাল, মাংস ও ভেষজ শাক-সবজির ব্যবস্থা করছেন স্থানীয়রাই। গ্রামের লোকশিল্পীরা নাচ-গানের আয়োজনও করছেন। বিকল্প উপার্জনের পথ পেয়ে খুশি মানুষ । পর্যটকদের নিরাপত্তায় প্রস্তুত পুলিশ-প্রশাসনও। প্রয়োজনে এই এলাকায় পুলিশ ফাঁড়িও তৈরি হবে। আগামীদিনে ট্রেকিং টুরিজমের হাত ধরে এই তিন গ্রামে হোম স্টে তৈরি হবে বলে আশা স্থানীয় মানুষজনের। পাহাড়ের কোলে নতুন ঠিকানায় অ্যাডভেঞ্চারের স্বপ্ন দেখাচ্ছে মিরিক
Be the first to comment