রাশিয়ার এক সংবাদসংস্থা জানিয়েছে সিরিয়ার সৈরাট এয়ারবেসে ৯টি মিসাইল ছোঁড়া হয়েছে। প্রকাশিত রিপোর্ট অনুযায়ী ৩টি মিসাইল টার্গেট করা হয়েছিল দুমায়ার এয়ারপোর্টে। এটি উত্তর পূর্ব দামাস্কাসে অবস্থিত। সিরিয়ান ডিফেন্স ফোর্সের তরফে এই খবরটি প্রকাশ করা হয়েছে। তবে এই হামলা নিয়ে সরকারিভাবে কোনও তথ্য প্রকাশ করা হয়নি।
উল্লেখ্য, এর আগেও ১৪ এপ্রিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স ও ব্রিটেন একসঙ্গে সিরিয়ায় ১০০ টি ক্রুজ ফেলেছিলো। হোয়াইট হাউজ থেকে একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ট্রাম্প জানান, “কিছুদিন আগেই আমি মার্কিন সেনাকে হামলার কথা বলি। সিরিয়ার রাষ্ট্রপতি বাসার আল-আসাদের রাসায়নিক অস্ত্রের পরিপ্রেক্ষিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়৷”
ট্রাম্প বলেছেন, ইরান ও রাশিয়া, আমি জিজ্ঞাসা করছি কোন দেশ নির্দোষ পুরুষ, মহিলা ও শিশুদের গণহত্যা করতে সাহায্য করে? আসাদের রাসায়নিক অস্ত্র হামলার কথা উল্লেখ করে ট্রাম্প বলেছেন, এটা মানুষের কাজ নয়। দানবের কাজ। আমাদের কাজ রাসায়নিক অস্ত্রের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
ব্রিটিশ মুখ্যমন্ত্রী থেরেসা মে বলেছেন, সিরিয়ায় রাসায়নিক অস্ত্র যাতে না ব্যবহার করা হয়, তাই এই অপারেশনে অংশ নিয়েছেন তাঁরা। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মার্কিন প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে বিমানহানা একাধিক জায়গায় করা হয়েছে। হামলার জন্য তোমাহক ক্রুজ মিসাইল ব্যবহার করা হয়েছে।
পাশাপাশি রাশিয়া ও ইরানকেও সতর্ক করছে আমেরিকা। আসাদ সরকারের পিছনে এই দুটি শক্তিরই হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এম্মানুয়েল ম্যাকর বলেছেন, আমেরিকা ও ব্রিটেনের সঙ্গে ফ্রান্স অপারেশনে যোগ দিয়েছে তার কারন সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রের ব্যবহারিক প্রয়োগ।
Be the first to comment