গুরুতর অভিযোগ মাদার টেরিজার মিশনারিজ অফ চ্যারিটির বিরুদ্ধে

Spread the love

গুরুতর অভিযোগ মাদার টেরিজার মিশনারিজ অফ চ্যারিটির বিরুদ্ধে। রাঁচিতে মিশনারিজের নির্মল হৃদয় আশ্রমে অনিমা ইন্দোয়ার নামে এক সন্ন্যাসিনী ১৪ দিনের শিশুপুত্রকে বিক্রি করে গ্রেফতার হয়েছেন। মিশনারিজের রাঁচির নির্মল হৃদয়ের সিস্টার ইন চার্জ সহ আরও দুই কর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। রাজ্য শিশুকল্যাণ কমিটির অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিয়েছে পুলিশ। পুলিশ জানাচ্ছে, ওই কেন্দ্র থেকে আরও শিশুর বিক্রি হওয়ার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। সেই শিশুদের মায়েদের নাম জানা গিয়েছে। কেন্দ্রটি থেকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকাও পাওয়া গিয়েছে।
শিশুকল্যাণ কমিটির চেয়ারপার্সন রূপা ভার্মা বিবিসিকে জানিয়েছেন, ওই দম্পতি জানিয়েছে, তারা যে টাকা দিয়েছে তা হাসপাতালের জন্য খরচ হবে বলে তাদের জানানো হয়েছে। ওই শিশুপুত্রটি ১৯ মার্চ আশ্রমে আসে। তাকে বিক্রি করা হয় ১৪ মে। ১ মে তাঁরা টাকা দেন। ১ জুলাই তাদের আশ্রমে কিছু কাজ আছে বলে ডেকে পাঠানো হয়। তখন অনিতা শিশুটিকে নিয়ে নেন। উল্লেখ্য, তার আগেই কমিটি ওই আশ্রমে আচমকা পরিদর্শনে গিয়েছিল।
গর্ভবতীদের প্রসবের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার আগে কমিটিকে নির্মল হৃদয়ের কর্তৃপক্ষের জানানো উচিত ছিল বলে রূপা কুমারী জানিয়েছেন। কমিটি জেনেছে, আরও শিশুকে ৫০ থেকে ৭০ হাজারে বিক্রি করা হয়েছে। রাঁচির ওই আশ্রম থেকে ১৩ জন গর্ভবতীকে অন্যত্র সরিয়ে নিয়েছে কমিটি। শিশুটি এখন কমিটির কাছে রয়েছে।
দেশের বহু জায়গাতেই মিশনারিজ অফ চ্যারিটি অবিবাহিত গর্ভবতী মেয়েদের আশ্রম চালায়। কিন্তু নতুন দত্তক আইন চালু হওয়ার পর তিনবছর আগেই তারা দত্তক দেওয়া বন্ধ করে দেয়। ভারতে কড়া দত্তক আইন থাকায় নিঃসন্তান দম্পতিরা অবৈধভাবে শিশু দত্তক নিয়ে থাকে। ২০১৫-২০১৬ সালে ৩ হাজার ১১টি অবৈধ দত্তক নেওয়া ঘটনা সামনে এসেছে। আইনিভাবে দত্তক নেওয়ার আবেদনকারীর সংখ্যা ১২ হাজারেরও বেশি। 

Be the first to comment

Leave a Reply

Your email address will not be published.


*